নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৩ জুন, ২০২২

বিআইবিএমের গোলটেবিলে বিশিষ্টজন

দেশে ঋণখেলাপির হার বেশি

চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত বৈশ্বিক মানদণ্ডে ঋণখেলাপির হার ২-৩ শতাংশ হলেও বাংলাদেশে এটি ৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ। তবে করোনাকালে ঋণখেলাপির পরিমাণ আরো বেড়েছে, যার সঠিক পরিসংখ্যান এখনো হাতে পৌঁছায়নি। মঙ্গলবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) উদ্যোগে ‘অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি (এএমসি) : বাংলাদেশের খেলাপি ঋণ সমস্যার সমাধান’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন বিশিষ্টজনরা।

বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে গোলটেবিলে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এবং বিআইবিএম নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান আহমেদ জামাল। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিআইবিএমের ড. মোজাফফর আহমদ, চেয়ার প্রফেসর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা, বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি প্রফেসর আলী হোসেন প্রধানিয়া, বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি প্রফেসর মো. আবদুর রহিম, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন, এবি ব্যাংক লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিকুল আফজাল, বাংলাদেশ ব্যাংক ট্রেনিং অ্যাকাডেমির নির্বাহী পরিচালক ড. মো. কবির আহমেদ প্রমুখ।

গোলটেবিলে স্বাগত বক্তব্য দেন বিআইবিএমের সহযোগী অধ্যাপক এবং পরিচালক (গবেষণা, উন্নয়ন ও কনসালট্যান্সি) ড. আশরাফ আল মামুন। অনুষ্ঠানে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের অধ্যাপক (সিলেকশন গ্রেড) ড. প্রশান্ত কুমার ব্যানার্জ্জী। গবেষণা দলে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন বিআইবিএমের অধ্যাপক (সিলেকশন গ্রেড) মোহাম্মদ মহীউদ্দিন সিদ্দিকী, বিআইবিএমের অনুষদ সদস্য এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক মাহমুদ সালাহ্উদ্দিন নাসের, বিআইবিএমের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শহীদ উল্লাহ, বিআইবিএমের সহকারী অধ্যাপক মো. রুহুল আমীন এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্ম সচিব ড. নাহিদ হোসেন।

আলোচকরা বলেন, ঋণখেলাপি বাংলাদেশের একটি দীর্ঘদিনের সমস্যা। বৈশ্বিক মানদণ্ডের চেয়ে বাংলাদেশে ঋণখেলাপির হার কয়েকগুণ বেশি। ১৯৯৯ সালে দেশে ঋণখেলাপির পরিমাণ ছিল ৪১ দশমিক ১ শতাংশ। সর্বশেষ হিসাবে দেখা গেছে, এটি ৮ দশমিক ৫৩ শতাংশে নেমে এসেছে। বৈশ্বিক মানদণ্ডে ঋণখেলাপির হার ২-৩ শতাংশ। এ হিসাবে আমাদের দেশে ঋণখেলাপির পরিমাণ কয়েকগুণ বেশি। বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক খাতে খেলাপি ঋণ একটি বোঝা হয়ে উঠেছে। ব্যাপকসংখ্যক ঋণখেলাপি অর্থনীতির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এরই মধ্যে করোনা মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ ঋণখেলাপির সমস্যাকে আরো বাড়িয়ে তুলেছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণখেলাপির পরিমাণ কমিয়ে আনতে বেশকিছু কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সরকারও বেশকিছু আইন করেছে ঋণখেলাপি কমাতে। যেমন মানি লোন কোর্ট অ্যাক্ট, পাবলিক ডিমান্ড রিকভারি অ্যাক্ট, নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট অ্যাক্ট। তার পরও ঋণখেলাপি সমস্যা বেড়েই চলছে। যেভাবেই হোক এর আশু সমাধান প্রয়োজন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close