নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২১ জুন, ২০২২

আরো ঋণ সুবিধা চায় বিজিএমইএ

কোভিড মহামারিতে দেওয়া প্রণোদনার নীতি সুবিধাগুলো অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছে তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ। রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সঙ্গে বৈঠকে সংগঠনের নেতারা এগুলোর সঙ্গে নতুন কিছু দাবিও তুলেছেন। বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বৈঠকে একগুচ্ছ লিখিত দাবি তুলে ধরে।

লিখিত প্রস্তাবে সংগঠনটি বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট ও ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গে টেনে বৈদেশিক বাণিজ্য লেনদেনে বৈদেশিক মুদ্রাবিধি শিথিল করে ২০২১ সালের মার্চে দেওয়া সুবিধার মেয়াদ ২০২২ সালের পুরোটা সময়জুড়ে চেয়েছে। বৈঠকের বিষয়ে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘বর্তমান গভর্নর ফজলে কবির আগামী মাসে বিদায় নিচ্ছেন। তার সঙ্গে বিদায়ি সাক্ষাৎ করতে এসেছি। বিদ্যমান আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে তৈরি পোশাক খাতের জন্য দেওয়া নীতি সুবিধাগুলোর মেয়াদ ২০২২ সালের পুরোটা সময়ের জন্য এবং আগামী ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত ঋণখেলাপি না করার বিষয়টি নমনীয়ভাবে দেখার প্রত্যাশা জানিয়েছি।’

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘বিজিএমইএর কিছু দাবির মতো অন্যান্য ব্যবসায়িক সংগঠন, যেমন- এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকেও একই কথা বলেছেন তারা। আর কিছু বিষয় শুধু বাংলদেশ ব্যাংকের একার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়। তাদের দাবির বিষয়গুলো পর্যালোচনা করা হবে, ব্যাংকারদের মতামত নিয়েই পরবর্তী যৌক্তিক করণীয় নির্ধারণ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।’

কোভিড-১৯ মহামারিতে লকডাউনের সময় ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন প্রণোদনা ঋণ প্যাকেজের পাশাপাশি অনেক নীতি সুবিধা দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। নীতি সুবিধাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- রপ্তানি আয় ১২০ দিনের পরিবর্তে ২১০ দিনের মধ্যে আনা, ব্যাক টু ব্যাক এলসির দায় পরিশোধে ১৮০ দিন অতিরিক্ত সময় দেওয়া, রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) থেকে নেওয়া ঋণের মেয়াদ ৯০ দিনের পরিবর্তে ১৮০ দিন করা, ইডিএফ-এর অর্থে ব্যাক টু ব্যাক এলসির দায় পরিশোধে সুযোগ ইত্যাদি। এ ছাড়া ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করলেও খেলাপি হিসেবে শ্রেণিকরণ না করা ইত্যাদি। ২০২০ সালের মার্চের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে দেওয়া সুবিধাগুলোর মেয়াদ দফায় দফায় বাড়ানো হয়। সর্বশেষ গত বছরের জুন মাসে বাড়ানো মেয়াদও শেষ হয় ২০২১ সালের ডিসেম্বরে। এ ছাড়া ২০২১ সালে বকেয়া হওয়া ঋণের ১৫ শতাংশ পরিশোধ করেই খেলাপি হওয়া থেকে বেচে যান ব্যবসায়ীরা। সেই সুযোগ চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছিল বিশেষ বিবেচনায়। সেই সুযোগটির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য বিজিএমইএ গভর্নরের কাছে দাবি তোলে। একই সঙ্গে সংগঠনটি ‘এককালীন এক্সিটের’ অর্থের কিস্তি পরিশোধের সময় বাড়ানোর অনুরোধও করেছে।

২০১৯ সালের ১৬ মে বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণ পুনঃতফসিল ও ‘এককালীন এক্সিট’ সংক্রান্ত বিশেষ নীতিমালার মাধ্যমে পুনঃতফসিল ঋণের মাত্র ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টে ৯ শতাংশ সরল সুদে এক বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ টানা ১০ বছরে ঋণ পরিশোধের সুযোগ দেয়। আর এককালীন এক্সিট সুবিধাটি নিতে অর্থ পরিশোধের সময় দেওয়া হয় এক বছর।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close