চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

  ১৬ মে, ২০২২

সোনামসজিদ স্থলবন্দরে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ৯ দিন ধরে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে খুচরা বাজারে। তেলের পর এবার বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। আমদানি বন্ধ হওয়ার এক সপ্তাহের ব্যবধানে ২০ টাকা কেজি মূল্যের ভারতীয় পেঁয়াজ ৩২ থেকে ৩৫ টাকা ও ২৫ টাকা মূল্যের দেশি পেঁয়াজের দাম ৪৫ টাকায় ঠেকেছে। সোনামসজিদ স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ গত ৫ মে এ স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এরপর থেকে বন্ধ রয়েছে পেঁয়াজ আমদানি।

আমদানিকারকরা জানান, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির আগের ইমপোর্ট পারমিটের (আইপি) মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। নতুন করে আইপি না পাওয়ায় কয়েক দিন ধরে আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। গত শনিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের পুরাতন বাজার, নিউমার্কেট কাঁচাবাজারসহ কয়েকটি বাজার ও দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরায় প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এখন বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩২ থেকে ৩৫ টাকায়। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। যদিও কয়েক দিন আগে এই পণ্যটির দাম ছিল ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি। আড়তে পেঁয়াজ কিনতে আসা আবদুল বারি বলেন, ঈদের আগে আড়তে পেঁয়াজের দাম ছিল ১৮ থেকে ২০ টাকা কেজি। এখন আমাদের ২৮ থেকে ৩০ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে। আমরা অন্য বাজারে ৩২ থেকে ৩৫ টাকা কেজি খুচরা বিক্রি করছি। দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে আরো ১০ টাকা বেশি।

পুরাতন বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী শামীম বলেন, হঠাৎ করেই পেঁয়াজের দামটা বেড়ে গেছে। ভারত থেকে আমদানি বন্ধ হওয়ার কারণে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। পেঁয়াজের আমদানি শুরু হলে আবারও দাম কমে যাবে বলে আশা করছি।

সোনামসজিদ স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. মাসুদ রানা বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য আমাদের যেসব ইমপোর্ট পারমিট নেওয়া ছিল সেগুলোর মেয়াদ ছিল ৫ মে পর্যন্ত। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ১ থেকে ৪ মে পর্যন্ত সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close