নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৪ জানুয়ারি, ২০২২

ঋণের কিস্তি পরিশোধে জুন পর্যন্ত সময় দাবি ব্যবসায়ীদের

সরকারি প্রণোদনা ঋণের কিস্তি পরিশোধ করার জন্য আগামী জুন পর্যন্ত সময় দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর বর্তমানে ওমিক্রনের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিস্থিতি আরো নাজুক অবস্থায় দাঁড়িয়েছে। এমন অবস্থায় অনেক ব্যবসায়ীর ঋণের কিস্তি দেওয়ার সক্ষমতা নেই। বাংলাদেশ ব্যাংক সময় না বাড়ালে ঋণগ্রহীতাদের অনেকেই খেলাপি হবেন, যা দীর্ঘ মেয়াদে দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর হবে।

গতকাল এফবিসিসিআই আয়োজিত কাউন্সিল অব চেম্বার প্রেসিডেন্টস-২০২২-এর মতবিনিময় সভায় এমন দাবি করেন ব্যবসায়ীরা। মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিল অব চেম্বার প্রেসিডেন্টসের সভাপতি ও এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি মো. আমিনুল হক শামীম, মো. আমিন হেলালী, সালাহউদ্দীন আলমগীর, হাবীব উল্লাহ ডন ও এমএ রাজ্জাক খান রাজ ও মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।

ব্যবসায়ীদের দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ঋণ শ্রেণীকরণ সুবিধার মেয়াদ না বাড়ালে অন্তত ৫০ শতাংশ ব্যবসায়ী খেলাপি হবেন। মহামারিকালীন মন্দা কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিসহায়তা এখন আরো বেশি দরকার। তা না হলে ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধার কঠিন হয়ে পড়বে।

তিনি বলেন, করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে সরকারের নির্দেশে যেসব খাতের ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছিল, সে খাতগুলোই এখনো প্রণোদনার ঋণ পায়নি। মহামারিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা। কিন্তু অন্যান্য প্রণোদনা তহবিলের অর্থ প্রায় শতভাগ ছাড় হলেও এসএমই প্রণোদনার বড় অংশ বিতরণ হয়নি। ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতে ছোট আকারের ঋণ দিতে ব্যাংকগুলোর অনীহা আছে উল্লেখ করে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ব্যাংকগুলো মনে করে, ছোট আকারের ঋণ দেওয়া লাভজনক নয়। বড় ব্যবসা খাতে ঋণ দিলে ব্যাংকের জনবল ও খরচ কম হয়। কিন্তু এ ধারণা ভুল, বরং এতে মন্দ ঋণের ঝুঁকি বাড়ে। এসএমই খাতে খেলাপি ঋণ নেই বললেই চলে।

দেশে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে সরকারের নীতিনির্ধারণী বৈঠকে বেসরকারি খাতকে রাখার আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, অর্থনীতিতে ৮২ শতাংশ অবদান রাখছে বেসরকারি খাত। তাই বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিত্বকারী হিসেবে যেকোনো নীতি প্রণয়নে এফবিসিসিআইয়ের মতামত থাকা জরুরি। এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, দেশে এখনো শুল্ককর ও ভ্যাট আদায়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। কোম্পানি আইন, আমদানি ও রপ্তানি আইন নতুন করে হচ্ছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close