হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

  ১৩ জানুয়ারি, ২০২২

হিলি স্থলবন্দর

ছয় মাসে রাজস্ব ঘাটতি ৩৩ কোটি টাকা

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব আহরণ করা হয়েছে ১৯৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। ফলে এ সময় রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৩ কোটি ৪ লাখ টাকা। প্রথম ছয় মাসে এনবিআর কর্তৃক রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২২৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। তবে সদ্যসমাপ্ত বছরের ডিসেম্বরে ৩০ কোটি ২৪ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৩২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।

হিলি স্থল শুল্ক স্টেশন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর থেকে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা কিছুটা বাড়িয়ে ৪৫৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা নির্ধারণ করে এনবিআর। লক্ষ্যমাত্রা অনুসারে অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে বন্দর থেকে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা, বিপরীতে রাজস্ব আহরিত হয়েছে ৩৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। আগস্টে ৪৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ২৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। সেপ্টেম্বরে ৩৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৩৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা। অক্টোবরে ৩৯ কোটি ২ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৩৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা। নভেম্বরে ৪০ কোটি ৩২ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৩২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। তবে ব্যতিক্রম চিত্র দেখা গেছে ডিসেম্বরে। এ সময় এনবিআরের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ৩০ কোটি ২৪ লাখ টাকার বিপরীতে বন্দরটিতে রাজস্ব আহরণ করা হয়েছে ৩২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।

হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা এস এম নুরুল আলম খান বলেন, বিগত ২০২০-২১ অর্থবছরে হিলি স্থলবন্দরে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার অধিক রাজস্ব আহরণ করায় চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অনেক বেশি নির্ধারণ করেছে এনবিআর। যার কারণে অর্থবছরের শুরু থেকেই হিলি স্থলবন্দর থেকে এনবিআর নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছর রাজস্ব আহরণ বেশি হচ্ছে। তিনি জানান, বন্দরের রাজস্ব আহরণ নির্ভর করে বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানির পর। তবে হিলি স্থলবন্দর থেকে রাজস্ব আহরণ বাড়াতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। নিয়মের মধ্যে থেকে এ স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি করা পণ্য দ্রুত পরীক্ষণ, শুল্কায়ন, খালাসসহ ব্যবসায়ীদের সুযোগণ্ডসুবিধা বাড়ানোর মধ্য দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বাড়ানোর মধ্য দিয়ে রাজস্ব আহরণ বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। বর্তমানে যে ধারায় বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলছে, তাতে করে অর্থবছরের বাকি সময়ে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হতে পারে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close