reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২২ নভেম্বর, ২০২১

নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস

বাংলাদেশ ব্যাংকের বক্তব্য

বাংলাদেশ ব্যাংকের আওতায় পাঁচটি সরকারি ব্যাংকে নিয়োগ-সংক্রান্ত অনিয়ম/প্রশ্নপত্র ফাঁস ইত্যাদি বিষয়ে সম্প্রতি কতিপয় পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক নিম্নোক্ত বক্তব্য দিয়েছে। প্রথমত, ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি সচিবালয় (বিএসসিএস)-এর আওতায় গত ৬ নভেম্বর ৫টি ব্যাংকের ‘অফিসার (ক্যাশ)’ পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ছিল আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিএসসিএস ওই পরীক্ষা বাতিল করেছে। এ ছাড়া আহ্ছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বিএসসিএসের আরো দুটি পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্বে থাকায় তা স্থগিত করা হয়েছে এবং আহ্ছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে ভবিষ্যতে এ ধরনের পরীক্ষা পরিচালনার সুযোগ না দেওয়ার জন্য কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে চিহ্নিতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং অধিকতর তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো পর্যায়ের কোনো কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

তবে পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগে ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক আবদুল্লাহ আল মাবুদ এবং মো. আলমাস আলীকে ১৩ জুন সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বিষয়টি এখনো তদন্তাধীন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে যথাযথ প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দ্বিতীয়ত, কোনো নিয়োগ পরীক্ষায় ব্যাংকের কোনো পর্যায়ের কোনো কর্মকর্তার প্রভাব বিস্তারের কোনো সুযোগ নেই। এ ক্ষেত্রে আহ্ছানউল্লা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার ব্যাপারে পত্রিকায় যে সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের একে অপরের কাজে প্রভাবিত করার কোনো এখতিয়ার বা সুযোগ নেই। সুতরাং পত্রিকায় যে সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে তা-ও সঠিক নয়। বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চিত রিজার্ভ ব্যবস্থাপনার নীতিগত সিদ্ধান্তগুলো গৃহীত ও নিয়ন্ত্রিত হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ম্যানেজমেন্ট গাইডলাইন্স ও উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ইনভেস্টমেন্ট কমিটির (আইসি) মাধ্যমে। সার্বিক কার্যক্রম দৈনিক ভিত্তিতে অডিটও হয়ে থাকে। রিজার্ভ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কার্যক্রমে কোনো একক বা ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণের কোনো অবকাশ নেই। একইভাবে রিজার্ভের বিনিয়োগ থেকে কারো পক্ষে ব্যক্তিগত কোনো অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করারও সুযোগ নেই। রিজার্ভ হতে বিনিয়োগকৃত সব অর্থই মুনাফাসহ সঠিক সময়ে আদায় হয়েছে এবং হচ্ছে। বিনিয়োগকৃত আসল বা সুদ যথাসময়ে আদায় বা ফেরত না পাওয়ার কোনো দৃষ্টান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাসে অদ্যাবধি ঘটেনি। তাই এ বিষয়ে পত্রিকায় যে সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে, তাও বস্তুনিষ্ঠ এবং সঠিক নয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close