নিজস্ব প্রতিবেদক
নন-বন্ড রপ্তানিকারক
এলসির জটিলতা নিরসনের উদ্যোগ
নন-বন্ড রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো বিগত দিনে যে নগদ সহায়তা নিয়েছিল, সম্প্রতি ব্যাক টু ব্যাক এলসি বন্ধ করে তা ফেরতের পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এক চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে এ-সংক্রান্ত অনুরোধ জানায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ওই পদক্ষেপের ফলে দেশের রপ্তানি খাতে অস্থিরতা সৃষ্টি হয় বলে দাবি করে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)। তবে তা নিরসনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
বিকেএমইএ বলছে, সম্প্রতি বাণিজ্যমন্ত্রীর দপ্তরে মন্ত্রীর সভাপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে নন-বন্ড রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাক টু ব্যাক এলসি বন্ধের পদক্ষেপের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনার মাধ্যমে বিগত দিনে গৃহীত সহায়তার টাকা ফেরত নেওয়ার জন্য এনবিআর বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দেওয়ায় দেশের রপ্তানি খাতে যে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছিল, তা নিরসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এজন্য সভায় বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিকেএমইএ জানিয়েছে, সভায় গ্রহণ করা সিদ্ধান্তগুলো হলো, নন-বন্ড টু নন-বন্ড প্রতিষ্ঠানে ব্যাক টু ব্যাক এলসি হলে এনবিআরের কোনো আপত্তি নেই। সংস্থাটি এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংককে আবার একটি চিঠি দিয়ে আগের দেওয়া পত্রের কার্যকারিতা স্থগিত করবে। আর অ্যাকসেসরিজের জন্য বন্ড টু নন-বন্ড প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে একটি এলসির সর্বোচ্চ কত পার্সেন্ট পর্যন্ত ব্যাক টু ব্যাক এলসি দেওয়া যাবে, তার সুপারিশ করবে ওয়ার্কিং কমিটি।
এ ছাড়া ১৯ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর, বিকেএমইএ ও বিজিএমইএর সমন্বয়ে একটি ওয়ার্কিং কমিটি করবে। যে কমিটি রপ্তানি-সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করবে। আইনের কোথাও কোনো সংশোধনের প্রয়োজন হলে তা চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় সংশোধনের সুপারিশ তৈরি করবে।
"