হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
আমদানির পর কমেছে চালের দাম
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি বেড়েছে। সেই সঙ্গে খুচরা ও পাইকারি বাজারে কমেছে চালের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকারভেদে কেজিতে চালের দাম কমেছে ২ থেকে ৩ টাকা। দেশের বাজারে চালের দাম স্বাভাবিক রাখতে চলতি বছরের ২৮ আগস্ট থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে শুরু হয়েছে চাল আমদানি। প্রথম দিকে স্থানীয় বাজারে তেমন একটা প্রভাব না পড়লেও বর্তমানে কমতে শুরু করেছে চালের দাম। এদিকে খুচরা বাজারে চালের দাম কমায় স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতাদের মাঝে।
হিলি স্থলবন্দরের চালের খুচরা ও পাইকারি বাজারের ঘুরে দেখা যায়, ভারত থেকে আমদানিকৃত স্বর্ণা ও স্বর্ণা-৫ জাতের চাল কেজিতে ২ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকা কেজি দরে, ৪৬ টাকা কেজি আটাশ চাল কেজিতে ২ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকা দরে এবং সম্পা কাটারি কেজিতে ৩ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৫৪ টাকা দরে।
হিলি স্থলবন্দরের চাল বিক্রেতারা জানান, ভারত থেকে চাল আমদানির কারণে হিলি স্থলবন্দরের খুচরা ও পাইকারি বাজারে কমেছে চালের দাম। গত সপ্তাহের তুলনায় গতকাল শনিবার প্রতিটি চালের দাম কেজি প্রতি ২ থেকে ৩ টাকা কমেছে।
হিলি পানামা পোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অনন্ত কুমার চক্রবর্তী জানান, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে। দেশের বাজারে চালের দাম যেন বৃদ্ধি না হয় সেই জন্য বন্দরের ব্যবসায়ীরা বেশি বেশি চাল আমদানি করছে এবং পানামা পোর্ট আমদানি এসব চাল বন্দর থেকে দ্রুত ছাড়করণে ব্যবসায়ীদের সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর রশিদ জানান, হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা ৬০ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছে। অনুমতি পাওয়ার পর তারা এলসি খুলেছে এবং এরই মধ্যে বন্দরে চাল ঢুকছে। ভারত অভ্যন্তরে পাইপলাইনে প্রচুর পরিমাণে চাল রয়েছে সে চালগুলো কিছু দিনের মধ্যেই বন্দরে প্রবেশ করবে। আমদানি শুরুর দিকে মোকামগুলোতে চালের বেশ একটা চাহিদা ছিল সেটা এখন আর নেই। চাল আমদনি অব্যহত থাকলে আরো দাম কমতে পারে বলেও জানান তিনি।
হিলি শুল্ক স্টেশনের উপ-কামশনার কামরুল ইসলাম জানান, গত ২৮ আগস্ট থেকে হিলি বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত এই বন্দর দিয়ে ৫ হাজার ৮৯৫ টন চাল ছাড় দেওয়া হয়েছে। এ থেকে সরকারের রাজস্ব এসেছে ২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।
"