নিজস্ব প্রতিবেদক
ঈদের ছুটি ও করোনা প্রতিরোধে কঠোর বিধিনিষেধের প্রভাব
অর্থবছরের শুরুতেই রপ্তানি আয়ে ধাক্কা
কোরবানি ঈদের ছুটি ও করোনা প্রতিরোধে সরকারঘোষিত বিধিনিষেধের প্রভাব পড়েছে দেশের রপ্তানি খাতে। ফলে রপ্তানির ঋণাত্মক সূচকে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছর শুরু করল বাংলাদেশ। ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রপ্তানি থেকে ৩৪৭ কোটি ৩৪ লাখ ৩০ হাজার ডলার আয় হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪ দশমিক ১৭ শতাংশ কম। এছাড়াও গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১১ দশমিক ১৯ শতাংশ রপ্তানি আয় কমেছে।
গত মঙ্গলবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। জুলাইয়ে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩৭২ কোটি ৯০ লাখ ডলার। গত ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রপ্তানি আয় হয়েছিল ৩৯১ কোটি ডলার।
রপ্তানি খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন,কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে জুলাইয়ে প্রায় অর্ধেক সময় গার্মেন্ট ও অন্যান্য রপ্তানি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় দেশের রপ্তানি আয় কমেছে। তবে ধীরে ধীরে রপ্তানি আয় স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসবে।
ইপিবির প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাইয়ে গত অর্থবছরের জুলাইয়ের চেয়ে পোশাক খাত থেকে আয় কমেছে ১১ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। আর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কমেছে ৪ দশমিক ১৭ শতাংশ। জুলাইয়ে তৈরি-পোশাক রপ্তানি করে ২৮৮ কোটি ৭২ লাখ ডলার আয় হয়েছে। যার মধ্যে নিট পোশাক থেকে আয় হয়েছে ১৬৫ কোটি ৮৪ লাখ ডলার। আর ওভেন পোশাক থেকে এসেছে ১২২ কোটি ৮৭ লাখ ডলার। যদিও এ খাত থেকে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩০১ কোটি ২৭ লাখ ডলার। আর গত অর্থবছরের জুলাইয়ে আয় হয়েছিল ৩২৪ কোটি ৪৯ লাখ ডলার। এছাড়াও জুলাই মাসে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি করে ৬ কোটি ৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার আয় হয়েছে। অন্যদিকে গত বছরের জুলাইয়ে আয় হয়েছিল ১২ কোটি ১৭ লাখ ডলার; আর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ কোটি ৩৫ লাখ ডলার।
গত অর্থবছরের প্রথম মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে পাটের রপ্তানি আয় কমেছে ৪১ দশমিক ২৯ শতাংশ। আর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কমেছে ৫০ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ।
নতুন অর্থবছরের প্রথম মাসে হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানি করে বাংলাদেশ ৩ কোটি মার্কিন ডলার আয় করেছে। এ খাত থেকে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ কম আয় হয়েছে। এ খাতের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার। আগের অর্থবছরে আয় হয়েছিল ৩ কোটি ১৭ লাখ ডলার। তবে ওষুধ রপ্তানি প্রায় ৮ শতাংশ বেড়েছে। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি দশমিক ৬৪ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্য ২ দশমিক ৫৩ শতাংশ বেড়েছে। আর স্পেশালাইজড টেক্সটাইল রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৫ দশমিক ১১ শতাংশ।
"