মো. আজাদ হোসেন, চুয়াডাঙ্গা
কেরু অ্যান্ড কোম্পানি চিনিকল
বিদায়ী অর্থবছরে ১০৪ কোটি টাকা মুনাফা অর্জন
সুষ্ঠু পরিকল্পনা, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিরলসভাবে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে উৎপাদন প্রক্রিয়াকে বেগবান রাখা ও উৎপাদিত পণ্য সঠিকভাবে বাজারজাতকরণের মাধ্যমে বাংলাদেশ সুগার অ্যান্ড ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান কেরু চিনিকল চলতি বছরে শতকোটি টাকার ওপরে মুনাফা অর্জন করেছে। দেশের ঐতিহ্যবাহী চুয়াডাঙ্গার দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানি চিনিকল ২০২০-২১ অর্থবছরে মিলের উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্য বিক্রি ও সুষ্ঠু বাজারজাতকরণের মাধ্যমে ১০৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা নিট মুনাফা অর্জন করেছে। চিনি কারখানা, চিনিকলের নিজস্ব বাণিজ্যিক খামারসহ অন্যান্য বিভাগের সুষ্ঠু ৭৬ কোটি টাকা লোকসান কাটিয়ে মিলটি এ বছর ২৮ কোটি টাকা নিট লাভ অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
চিনিকল কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০২০-২১ অর্থবছরে মিলটির চিনি কারখানায় ৭২ কোটি, ৯টি বাণিজ্যিক খামারে ৩ কোটি ৮৫ লাখ ও পরীক্ষামূলক খামারে ২০ লাখসহ ৭৬ কোটি ৫ লাখ টাকা লোকসান হয়। পাশাপাশি কেরু ডিস্টিলারি এ বছর ৫২ লাখ ৪৭ হাজার ৪৭৩ লিটার দেশি মদ উৎপাদন ও বাজারজাত, ৪৬ লাখ ৯৬ হাজার লিটার থিনার, ১ লাখ ৬১ হাজার কেস বিলাতি মদ বিক্রি করে সর্বকালের রেকর্ড সৃষ্টি করেছে।
মিলের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) শেখ সাহাব উদ্দিন এ বিষয়ে প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, এ বছর ডিস্টিলারি থেকে সরকারকে ৭৩ কোটি ২০ লাখ টাকা রাজস্ব দিয়েও কেরু চিনিকল ১০৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা মুনাফা অর্জন করেছে। এ ছাড়া বায়োফার্টিলাইজার ও ভিনেগার উৎপাদন করে ৩২ লাখ ৮৮ হাজার টাকা আয় করেছে। হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদন করে আয় হয়েছে ৫৫ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে মিলটি এবার ১০৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা মুনাফা অর্জন করেছে।
কেরু চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবু সাঈদ বলেন, কেরু অ্যান্ড কোম্পানি চিনিকল অপার সম্ভাবনাময় একটি প্রতিষ্ঠান। এখানে দক্ষ জনবল ও সব শ্রমিক কর্মচারী ও কর্মকর্তা দায়িত্ব নিয়ে কাজ করলে ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানটিতে লাভ হবেই। সঙ্গে সঙ্গে উন্নত জাতের আখ চাষ ও ফলন বাড়ানোর বিকল্প নেই। ভালো ও রসালো আখ উৎপাদন করতে পারলে চিনি আহরণের মাত্রা বাড়বে, চিনি উৎপাদন বাড়লে চিনিতে লোকসান কমে আসবে বলে মনে করেন তিনি।
"