নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০

‘ডিজিটাল আর্থিক সেবায় বাংলাদেশ বিশ্বের দৃষ্টান্ত’

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল আর্থিক সেবায় বাংলাদেশ বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। দেশের মানুষের কাছে এ সেবা আস্থা অর্জন করেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির সুফল হিসেবে আমাদের ক্যাশবিহীন সমাজের দিকে যাওয়া অনিবার্য। আমাদের জীবনযাপন অনেকাংশেই ইন্টারনেটনির্ভর হয়ে যাওয়ায় এটি কেবল টাকার লেনদেনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, জীবনের সব ক্ষেত্রে অনিবার্য। কোভিড পরিস্থিতিতে ডিজিটাল আর্থিক সেবা আরো অপরিহার্য করে তুলেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। গতকাল রাজধানীর দ্য ডেইলি স্টার ও ভিসার ব্যাংকার, এমএফএস এবং সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের অংশগ্রহণে আয়োজিত ডিজিটাল বাংলাদেশ ২০২১, পেমেন্ট সিস্টেম অ্যান্ড ফিনটেক শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, মিটিং, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম থেকে শুরু করে আমাদের শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্য, সরকার পরিচালনাসহ প্রাত্যহিক জীবনের বাহন এখন ইন্টারনেট। গত জানুয়ারির পর ইন্টারনেট যোগাযোগ দ্বিগুণের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। গত জানুয়ারিতে এক হাজার জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ ব্যবহৃত হতো, তা বেড়ে এখন ২ হাজার ১০০ জিবিপিএসে উন্নীত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে গত ১১ বছরে ডিজিটাল অবকাঠামো গড়ে ওঠায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের ডিজিটাল জীবনযাত্রার সুযোগ পাচ্ছেন বলে জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ২০০৮ সালে দেশে মাত্র ৮ জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ ব্যবহৃত হতো আর ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৪০ লাখ, যা ২০২০ সালে সাড়ে ১০ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। ইন্টারনেট সুবিধা দেশের প্রত্যন্ত গ্রামে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। দেশের তিন হাজার ৮০০ ইউনিয়নে দ্রুতগতির ব্রডব্যান্ড সংযুক্তি ইতোমধ্যে পৌঁছে গেছে। দুর্গম চর, হাওর ও দ্বীপসহ অবশিষ্ট প্রায় ৭৩৮টি ইউনিয়নে ব্রডব্যান্ডে ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে কিছুকিছু দুর্গম এলাকায় আমরা নেটওয়ার্ক পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছি।

২০২১ সালের মধ্যে ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্কের কোনো সংকট হবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালে আমরা ফোরজি চালু করেছিলাম, কিন্তু নানা কারণে মোবাইল অপারেটরসমূহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখনো ফোরজি চালু করতে পারেনি। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ফোরজি সম্প্রসারণে সংশ্লিষ্টদের আমরা নির্দেশনা দিয়েছি। ফাইভজির জন্যও প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে আমরা পা দিয়েছি, বর্তমান অবস্থা আরো বদলাবে। এরই ধারাবাহিকতায় এআই, রোবটিকস, আইওটি কিংবা ব্লকচেইন প্রাত্যহিক আর্থিক সেবায় যুক্ত হলে চ্যালেঞ্জ আরো বাড়বে। সেক্ষেত্রে নিরাপত্তার বিষয়টি জরুরি। বক্তারা ডিজিটাল আর্থিক সেবার মাধ্যমে ক্যাশবিহীন সমাজ বিনির্মাণে সমস্যা ও সম্ভাবনার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোকপাত করেন। সেমিনারে এ ব্যাপারে তারা বেশকিছু উপায় নিয়ে মতামত ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম, বিজিএমইর সভাপতি রুবিনা হক, ভিসার কান্ট্রি ম্যানেজার রাম চন্দ্র, মাস্টার কার্ডের বাংলাদেশ প্রতিনিধি কামাল সাঈদ, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম মো. শিরিন, ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, বিকাশ-এর সিইও কামাল কাদির, নগদ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মিশুক বক্তৃতা করেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close