প্রায় ৩৩৪ কোটি ৪০ লাখ ৬১ হাজার ৩৮৩ টাকা ব্যয়ে চার ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। একই সঙ্গে একটি বাতিল প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গতকাল অনলাইনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ২৩তম সভায় প্রস্তাবগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়।

সভা শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, সভায় অনুমোদনের জন্য মোট চারটি প্রস্তাব এবং বাতিলের জন্য একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। অনুমোদিত চারটি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ৩৩৪ কোটি ৪০ লাখ ৬১ হাজার ৩৮৩ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে জিওবি হতে ব্যয় হবে ২২৯ কোটি ২৩ লাখ ১৯ হাজার ৮০৪ টাকা এবং ঋণের পরিমাণ বিশ্বব্যাংক এবং দেশীয় ব্যাংক থেকে ১০৫ কোটি ১৭ লাখ ৪১ হাজার ৫৭৯ টাকা।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘ঢাকা সিটি নেইবারহুড আপগ্রেডিং প্রোজেক্ট (ডিসিএনইউপি)’ প্রকল্পের জন্য পাঁচটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দিয়েছে সরকার। পরামর্শ প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- দোহা ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড, জাংগলিম আর্কিটেক্ট কোম্পানি লিমিটেড কোরিয়া, দেব কনসালটস লিমিটেড বাংলাদেশ, ডিজাইন প্ল্যানিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট প্ল্যানিং লিমিটেড এবং তানিয়া করিম এন আর খান অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে ব্যয় হবে ৪৩ কোটি ৯৫ লাখ ৭০ হাজার ৬৪২ টাকা।

তিনি বলেন, সভায় সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের দুটি প্রস্তাব ছিল। দুটি প্রস্তাবই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া-পাকশী-দাশুরিয়া জাতীয় মহাসড়কের কুষ্টিয়া শহরাংশ চার লেনে উন্নীতকরণসহ অবশিষ্টাংশ যথাযথ মানে উন্নীতকরণ প্রকল্পের পূর্ত কাজ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান জহিরুল লিমিডেটকে দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৪১ কোটি ২৫ লাখ ৭৭ হাজার ৬০৪ টাকা।

তিনি আরো বলেন, সভায় সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের অপর প্রস্তাবে ‘শরীয়তপুর (মনোহর বাজার)-ইব্রাহিমপুর ফেরিঘাট পর্যন্ত সড়ক উন্নয়ন’ প্রকল্পের পূর্তকাজ সম্পাদনে একটি মাত্র দরপত্র জমা পড়ায় ক্রয় প্রস্তাবটি বাতিলের জন্য উত্থাপন করা হলে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। আর নতুনভাবে ক্রয়কার্য পুনঃপ্রক্রিয়া করে নতুন প্রস্তাব পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে। প্রস্তাবটির ব্যয় ধরা হয়েছিল ১০৫ কোটি ৮৩ লাখ ৮২ হাজার ১০৭ টাকা।

সভায় অনুমোদিত অন্য প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছেÑ শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের অধীন ডিএপি ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএপিএফসিএল) জন্য ৩০ হাজার টন ফসফরিক অ্যাসিড আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৮৭ কোটি ৯৭ লাখ ৪২ হাজার ২০০ টাকা। তাছাড়া শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) কর্তৃক মুনতাজাত, কাতার থেকে ২৫ হাজার টন (১০%+) ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ৬১ কোটি ২১ লাখ ৭০ হাজার ৯৩৭ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

"