তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রাইভেসি বিবেচনায় সবচেয়ে পিছিয়ে ফেসবুক
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রাইভেসি বিষয়ে উদ্বেগ নতুন কিছু নয়। মাধ্যমগুলো যে ব্যবহারকারীদের প্রচুর পরিমাণে ডাটা সংগ্রহ করে তা অনেকেই অবগত। প্রশ্ন হচ্ছে, প্রাইভেসির ক্ষেত্রে কোন মাধ্যমটি সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে? প্রাইভেসি পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ইনকগনির সাম্প্রতিক এক গবেষণায় প্রশ্নটির উত্তর দেয়া হয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, বেশির ভাগ প্লাটফর্ম ব্যবহারকারীর ডাটা সুরক্ষিত রাখার মানদণ্ডে পিছিয়ে। শীর্ষস্থানীয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো ব্যবহারকারীদের ডাটা ঠিক কীভাবে ব্যবহার করছে এবং কতটা সুরক্ষা দিচ্ছে সে বিষয়ে গবেষণা পরিচালনা করে ‘সোশ্যাল মিডিয়া প্রাইভেসি র্যাংকিং ২০২৪’ প্রকাশ করেছে ইনকগনি।
ইনকগনির গবেষণায় দেখা গেছে, ৮ দশমিক ৯ স্কোর নিয়ে সর্বনিম্ন প্রাইভেসি ঝুঁকিতে আছে রেডিট। ৯ দশমিক ৯৯ ও ১০ দশমিক ৪৯ স্কোর নিয়ে পরের দুটি অবস্থান দখল করেছে ¯œ্যাপচ্যাট ও পিন্টারেস্ট। অন্যদিকে ১৮ দশমিক ৯৮ স্কোর নিয়ে সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে ফেসবুক। ঝুঁকি বিবেচনায় ১৬ দশমিক ৫১ ও ১৬ দশমিক ১৩ স্কোর পরের দুটি অবস্থানে মেসেঞ্জার ও লিংকডইন।
গবেষণা বলছে, ব্যবহারকারীদের ডাটা সংগ্রহ ও সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে আছে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম। এদিকে অ্যাকাউন্ট ডিলিট করার পরও দীর্ঘসময় ডাটা সংরক্ষণ করেছে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, মেসেঞ্জার, ইউটিউব ও ডিসকর্ড। ব্যবহারকারীরা কঠোর প্রাইভেসি সেটিংস নির্বাচন করার পরও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের তুলনায় লিংকডইন ও এক্স (সাবেক টুইটার) সবচেয়ে বেশি ডাটা দেখিয়েছে।
ফেসবুক সর্বাধিক জেনারেল ডাটা প্রটেকশন রেগুলেশন (জিডিপিআর), ক্যালিফোর্নিয়া কনজিউমার প্রাইভেসি অ্যাক্ট (সিসিপিএ) এবং এ ধরনের আইন লঙ্ঘন করেছে। আর মাইক্রোসফটের অধীন চাকরিবিষয়ক সামাজিক যোগাযোগ সাইট লিংকডইন সবচেয়ে বেশিসংখ্যক তথ্য ফাঁসের শিকার হয়েছে। অর্থাৎ প্লাটফর্মটিতে অননুমোদিত অ্যাকসেসের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হয়েছে সবচেয়ে বেশি।
"