তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
পাসওয়ার্ড সুরক্ষায় ৫ হুমকি এবং সমাধান
প্রতি বছর মে মাসের প্রথম বৃহস্পতিবার পালিত হয় বিশ্ব পাসওয়ার্ড দিবস। মূলত পাসওয়ার্ড নিরাপত্তার গুরুত্ব, পাসওয়ার্ড-সম্পর্কিত সাইবার নিরাপত্তার হুমকি এবং সিস্টেমকে সুরক্ষিত রাখতে পাসওয়ার্ডের সর্বোত্তম ব্যবহার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এই দিবস পালন করা হয়।
পাসওয়ার্ড নিরাপত্তার ক্ষেত্রে প্রায়ই অনেকে নানা ধরনের হামলার সম্মুখীন হয়। কীভাবে পাসওয়ার্ডের নিরাপত্তা বাড়ানো যায়?
প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে পাসওয়ার্ড তৈরি, পরিচালনা এবং এর ব্যবহার সম্পর্কে নীতিগুলো কঠোর হওয়া প্রয়োজন। ব্যবহারকারীদের পাসওয়ার্ড হিসেবে সংক্ষিপ্ত, সহজ শব্দ, অক্ষরের ব্যবহার, অথবা ব্যক্তিগত বিবরণ ব্যবহার করা উচিত। তবে ব্রুট ফোর্স অ্যাটাকের মতো হামলাগুলো প্রতিকার করতে অটো-জেনারেটেড পাসওয়ার্ডসহ আরো জটিল পাসওয়ার্ড বেশি কার্যকর।
ব্যবহারকারীদের সম্ভাব্য ফিশিং স্ক্যাম সম্পর্কে সব সময় সতর্ক থাকা জরুরি। কোনো ব্যক্তির সঙ্গে অথবা কোনো ওয়েবসাইট এবং অ্যাপে গোপন তথ্য শেয়ার করা করার আগে সেখানে বৈধতা যাচাই করুন।
মাল্টি-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন (এমএফএ) অ্যাকাউন্টগুলোতে নিরাপত্তার একটি অতিরিক্ত স্তর তৈরি করে। এতে হ্যাকাররা অননুমোদিত প্রবেশ বা অ্যাক্সেস পেতে পারে না। পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহারের মাধ্যমে জটিল পাসওয়ার্ড তৈরি করা যায়। এতে পাসওয়ার্ডটি নিরাপদে সংরক্ষিতও থাকে। এটি এমন একটি সংগঠিত এবং এনক্রিপ্টেড পদ্ধতি, যা ব্যবহারকারীর পাসওয়ার্ডকে অনেক বেশি শক্তিশালী করে তোলে।
হ্যাকার অথবা দুর্বৃত্ত দ্বারা অ্যাকাউন্টে হামলা থেকে শুরু করে সংবেদনশীল তথ্য চুরি- নানাভাবে কোনো ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান সাইবার নিরাপত্তায় হুমকির সম্মুখীন হতে পারে শুধু একটি দুর্বল পাসওয়ার্ডের কারণে। তাই, পাসওয়ার্ডের সুরক্ষা বাড়ানোর জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রত্যেকের জন্য আবশ্যক।
"