তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক

  ১৯ মার্চ, ২০২৩

২ হাজার ইউনিয়নে নারীদের নিয়ে উঠান বৈঠক করবে গ্রামীণফোন

আগামী দুই বছরে ২ হাজার ইউনিয়নে নারী ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখতে কাজ করবে গ্রামীণফোন। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের চেতনার সঙ্গে একাত্ম হয়ে গ্রামীণফোন ডিজিটাল প্রতিপাদ্যের অধীনে ‘ইন্টারনেটের দুনিয়া সবার’ শীর্ষক একটি দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। যার লক্ষ্য লিঙ্গসমতায় উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির ব্যবহার।

দুই বছরব্যাপী এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে সারা দেশে উঠান বৈঠকের আয়োজন করা হবে। যার মাধ্যমে যে নারীদের প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ নেই কিংবা সীমিত সুযোগ রয়েছে, তাদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা হবে। তাদের ডিজিটাল স্বাক্ষরতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখার মাধ্যমে ক্ষমতায়ন করা হবে।

দুই হাজার ইউনিয়নের গ্রাম ও প্রান্তিক অঞ্চলের নারীদের বিশেষ এ উঠান বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে। যেখানে ইন্টারনেট তাদের জীবনকে কীভাবে উন্নত এবং সম্ভাবনা উন্মোচনে সাহায্য করতে পারে তা নিয়ে সচেতন করা হবে। সেশনগুলো বাস্তব জীবনের উদাহরণ উপস্থাপন করে নারীদের প্রযুক্তি ব্যবহার নিয়ে যে ট্যাবু ও ভুল ধারণা প্রচলিত রয়েছে তা ভাঙতে তাদের সচেতন করবে। এ ছাড়া অনুপ্রেরণামূলক মহিলাদের সঙ্গে তাদের সংযোগের মাধ্যমে নারীদের ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা এবং প্রয়োজনীয়তাগুলো প্রদর্শন করবে।

গ্রামীণফোনের কর্মী ও সংশ্লিষ্ট এলাকার অনুপ্রেরণাদায়ী নারীরা উঠান বৈঠকে তাদের মতো ব্যক্ত করবেন। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার সম্পর্কে শিক্ষা ও সচেতনতা তৈরি সম্পর্কে আলোচনা করবেন, যাতে অংশগ্রহণকারীরা ইন্টারনেটের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে তাদের ব্যক্তিগত জীবন ও কাজের ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করতে পারেন। অনলাইন নিরাপত্তার ওপর অতিরিক্ত ফোকাস দিয়ে অনলাইন এবং অফলাইন মডিউল উভয়ই ব্যবহার করা হবে। উঠান বৈঠকের প্রথম রাউন্ড ৯ মার্চ থেকে শুরু হয়ে লক্ষ্যে পৌঁছানো পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে চলবে।

গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান বলেন, আমাদের চারপাশে অনেক অনুপ্রেরণামূলক গল্প রয়েছে। যেমন দিনা মৃ যিনি মধুপুরের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ফ্রিল্যান্সিং করছেন, কিংবা ফোয়ারা ফেরদৌস যিনি ঘরে বসে তার নিজস্ব এফ-কমার্স ব্যবসাপ্রতিষ্ঠা করেছেন বা ড. তাসনিম জারা যিনি প্রতিদিন অনলাইনে চিকিৎসা-সংক্রান্ত ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে লড়াই করেন। কিন্তু এমন অনেক নারীও আছেন যাদের আমরা এই গল্পগুলো বলে, তাদের হাতের মুঠোয় থাকা সম্ভাবনাগুলোকে উন্মোচনে অনুপ্রাণিত করতে পারি।

তিনি আরো বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে হলে আমাদের নারীদের এই যাত্রায় সমানভাবে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। ডিজিটাল সাক্ষরতাকে ২০০০টি ইউনিয়নে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে, আমরা শুধু দেশের আনাচে-কানাচে থাকা মহিলাদের ইন্টারনেট ব্যবহার সম্পর্কে শিক্ষিত করতে চাই না বরং আমাদের অনুপ্রেরণাদায়ী মহিলাদের একটি প্ল্যাটফরম দিতে চাই, যেখানে তারা পিছিয়ে পড়া মহিলাদের অনুপ্রাণিত ও ক্ষমতায়নের জন্য তাদের গল্পগুলো শেয়ার করতে পারে।

জিএসএমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো লিঙ্গবৈষম্য বৃদ্ধি পেয়েছে ২০২১ সালে, যা ছিল ৪৮ শতাংশ। ডিজিটাল বৈষম্য দূর করা এবং প্রান্তিক নারীদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করে গ্রামীণফোন। লিডিং প্রযুক্তি কোম্পানি হিসেবে ‘ইন্টারনেটের দুনিয়া সবার’ গ্রামীণফোনের ডিজিটাল ডিভাইড কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতিকে প্রতিফলিত করে। সারা দেশে নারীদের জন্য ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির পক্ষে কথা বলে এবং তা ত্বরান্বিত করা এই প্রকল্পের লক্ষ্য।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close