তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক

  ১৮ জানুয়ারি, ২০২২

বাংলাদেশের সিডস ফর দ্য ফিউচার দল বিশ্বসেরা দশে

হুয়াওয়ে সিডস ফর দ্য ফিউচার-২০২১ বাংলাদেশ-এর বিজয়ীরা হুয়াওয়ে আয়োজিত ‘২০২১ টেক ফর গুড’ প্রতিযোগিতায় বিশ্বের সেরা ১০টি দলের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে। বাংলাদেশর আটজন সম্ভাবনাময় তরুণ এই মাসে সিডস ফর দ্য ফিউচারের পরবর্তী ধাপ, ‘২০২১ টেকফরগুড’- এর বৈশ্বিক সেমিফাইনাল রাউন্ডে অংশ নেবে।

হুয়াওয়ের সিডস ফর দ্য ফিউচার-২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে শুরু হয়; যেখানে বিভিন্ন বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। গত বছর নভেম্বরে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ফাইনাল রাউন্ডে শীর্ষ ১৬ শিক্ষার্থীকে নির্বাচিত করা হয়। পরবর্তী সময়ে ১৩০টি দেশ ও অঞ্চলের মতো বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও ‘টেক ফর অল’ প্রতিপাদ্যে তাদের প্রজেক্ট প্রেজেন্টেশন জমা দেয়। সেখান থেকে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা রাউন্ডে বাংলাদেশের সবাই সংক্ষিপ্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। এবং পরবর্তী পর্যায়ে এ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত কোয়ার্টার ফাইনালের ফলাফল অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে আটজন বৈশ্বিক সেমিফাইনাল রাউন্ডে অংশ নিবে যেখানে তারা আরজেন্টিনা, ব্রাজিল, ইরাক, লিবিয়া, লেবানন, সাউথ আফ্রিকা, থাইল্যান্ড ও পোল্যান্ডের সঙ্গে লড়াই করবে।

বাংলাদেশের দুটি গ্রুপের মধ্যে একটি ‘ডোরাকাটা’ নামে বিশেষ একটি প্রকল্প জমা দেয়, যার মাধ্যমে তারা বাংলাদেশে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা হ্রাসের বিষয়টি উত্থাপনের পাশাপাশি কীভাবে টাইগার সুন্দরবনের বাস্তুতন্ত্র ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং কীভাবে রেঞ্জার ও পশুচিকিৎসকরা স্বয়ংক্রিয় হুমকি মূল্যায়ন এবং দ্রুত সাড়া প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশের জাতীয় পশুকে রক্ষা করার জন্য ওয়্যারলেস সেন্সর, ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক, রিয়েল-টাইম মনিটরিংয়ের জন্য ক্লাউড ও এআইয়ের মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারেন সে প্রক্রিয়াটি তুলে ধরেন। এ দলের সদস্যরা হলেন- সৈয়দ দোহা উদ্দিন, নিশাত তাসনিম, মোহতাসিম তাসনিম জামান, সৈয়দা ফাতেমা ফায়রুজ, ইমতিয়াজ আহমেদ, রামিশা রাইদা করিম, মেহেদী হাসান, ফাতেমা ইসলাম তানিয়া।

হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সিইও ঝ্যাং ঝেংজুন বলেন, ‘এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ২০২৬ সালের মধ্যে এক লাখ তরুণকে ডিজিটাল ও আইসিটি খাতের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হুয়াওয়ে। হুয়াওয়ে বিশ্বাস করে তরুণরা বাংলাদেশের দারুণ এক শক্তি। তাই তাদের আইসিটি দক্ষতাকে আরো বাড়িয়ে তুলতে আমরা অনেক দিন থেকে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের তরুণরা সারা বিশ্বে যে স্বীকৃতি অর্জন করেছে তা আমাদের জন্য এবং হুয়াওয়ের সিডস ফর দ্য ফিউচার বাংলাদেশ দলের জন্য নিঃসন্দেহে গর্বের বিষয়। আমরা আশা করি যে আমাদের ছেলেমেয়েরা ২০২১ টেকফরগুডে পরবর্তী মাইলফল অর্জন করতে সক্ষম হবে।’

২০০৮ সাল থেকে চলমান শীর্ষস্থানীয় সামাজিক প্রভাববিষয়ক প্রতিযোগিতা হলো ‘টেকফরগুড’। এটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে বিদ্যমান সামাজিক ও পরিবেশগত সংকট সমাধানের সুযোগ প্রদান করে, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে এবং অভিজ্ঞ পরামর্শ পাওয়ার সুযোগ তৈরি করে যা তরুণদের বিকাশে কাজে লাগে।

প্রতিযোগিতার শীর্ষ তিনটি দলকে পুরস্কার, অতিরিক্ত প্রশিক্ষণ এবং বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে এফটুএফ আলোচনা ও সাক্ষাৎ করানো হয়।

সিডস ফর দ্য ফিউচার হলো হুয়াওয়ের ফ্ল্যাগশিপ সিএসআর প্রোগ্রাম, যা বিশ্বব্যাপী এসটিইএম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং গণিত) ভিত্তিক শিক্ষার্থীদের জন্য নিবেদিত এবং এটি আইসিটি খাতের প্রতিভাবানদের অনুপ্রাণিত করে। ২০১৪ সালে বাংলাদেশে প্রথম চালু হওয়া এই প্রোগ্রামটি শুরু থেকেই আইসিটি খাতের প্রতিভাবানদের পরিচর্যা করছে। এর আগে এই প্রোগ্রামের কয়েকজন বিজয়ী হুয়াওয়ের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পায়।

বাংলাদেশসহ অন্য দেশের বিজয়ীরা হুয়াওয়ের সদর দপ্তর থেকে অনলাইন প্রশিক্ষণ সেশনে বিস্তৃত প্রশিক্ষণ এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তিগত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ধারণা পেয়েছে। তারা টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক, আইসিটি খাতের প্রধান প্রযুক্তি, ফাইভজি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ক্লাউড কম্পিউটিং ইত্যাদি বিষয়ে ধারণা লাভ করে। এর পাশাপাশি, নেতৃত্বের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য তারা একটি বিশেষ সেশনেও অংশগ্রহণ করেন।

এই মাসের শেষের দিকে ‘২০২১ টেকফরগুড’ প্রতিযোগিতার সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে যেখানে সেরা তিন প্রকল্প ঘোষণা করা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close