তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
স্মার্টফোনের নিত্যনতুন প্রযুক্তিতে সরব ভিভো
ভিন্ন ভিন্ন সিরিজের আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন বিভিন্ন স্মার্টফোন লঞ্চ, গ্রাহকসেবায় উন্নতি আর বিশ্বের নতুন নতুন দেশের বাজারে যাত্রা করেছে ভিভো। বেড়েছে তাদের স্মার্টফোনের বিক্রি। ‘মোর লোকাল মোর গ্লোবাল’ স্লোগান নিয়ে লোকাল ম্যানুফ্যাকচারিং কারখানার কার্যক্রম জোড়ালো করেছে। এই নিয়ে ২০২১ সাল ছিল স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভিভোর সরব একটি বছর। গত বছরের এতসব অর্জন নিয়েই নতুন বছরের পরিকল্পনা করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০২১ সালে ব্র্যান্ডটির বেশ কিছু অর্জন নিয়েই এ প্রতিবেদন।
বৈচিত্র্যময় স্মার্টফোন : প্রযুক্তির সঙ্গে সঙ্গে দামের ভিত্তিতে বৈচিত্র্য এসেছে ভিভোর বিভিন্ন সিরিজেও। জেইস ইমেজিং প্রযুক্তির সঙ্গে বাজারে এসেছে প্রিমিয়াম মানের এক্স সিরিজ। আবার ভি সিরিজকে ভিভো বলছে অলরাউন্ডার সিরিজ, যার মিডরেঞ্জের দামের সঙ্গে রয়েছে আকর্ষণীয় ক্যামেরা প্রযুক্তি। আবার ওয়াই সিরিজে রয়েছে তরুণদের জন্য বাজেট স্মার্টফোনের নানা সমাহার।
উন্নয়ন ও গবেষণা : ২০২১ সালে উন্নয়ন ও গবেষণা খাতেও প্রচুর কাজ করেছে ভিভো। যার ফলস্বরূপ তারা উন্মোচন করেছে ইমেজিং চিপ ভি১। চিপ ডিজাইনের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটির মৌলিক গবেষণায় এটি প্রথম সফলতা। চিপ ভি১ ছবি তোলা ও ভিডিওগ্রাফির মান উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।
বিশ্বের দ্বিতীয় দ্রুত বর্ধনশীল ফাইভ-জি স্মার্টফোন ব্র্যান্ড : ফাইভ-জি স্মার্টফোনের উল্লেখযোগ্য উন্নতি এনেছে ভিভো। একইসঙ্গে বাজারে নিজেদের ফাইভ-জি সক্ষমতার স্মার্টফোনের সংখ্যা বাড়ানোর ঘোষণাও দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০২১-এর প্রথম প্রান্তিকে বিশ্বের দ্বিতীয় দ্রুত বর্ধনশীল ফাইভ-জি স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। এ প্রান্তিকে ভিভো ১৯ মিলিয়ন ইউনিট ফাইভ-জি স্মার্টফোন সরবরাহ করেছে, যা এর আগের প্রান্তিকের চাইতে ৬২ শতাংশ বেশি। সবমিলিয়ে ২০২১ সালে ফাইভ-জি স্মার্টফোনের বাজারে নিজেদের শক্ত অবস্থান জানান দিয়েছে।
জেইসের সঙ্গে পার্টনারশিপ : অসাধারণ স্মার্টফোন ফটোগ্রাফির অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে একত্রিত হয়েছে বিশ্বের দুই শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ভিভো ও কার্ল জেইস। শীর্ষ অপটিক্স এবং অপটোইলেকট্রনিক্স প্রতিষ্ঠান জেইস বর্তমানে কাজ করছে ভিভোর প্রিমিয়াম হ্যান্ডসেটগুলো নিয়ে। দেশে যাত্রা করা এক্স ৬০ প্রো এবং এক্স ৭০ প্রো ফাইভ-জিতে এরই মধ্যে যুক্ত হয়েছে কার্ল জেইসের ক্যামেরা লেন্স। ভিভো এবং জেইসের নিজস্ব প্রযুক্তিগুলোকে সমন্বয় করে স্মার্টফোন ক্যামেরার সকল সীমাবদ্ধতাগুলোকে অতিক্রম করার প্রয়াস রয়েছে ভিভোর।
ইউরো পার্টনারশিপ, ‘টু বিউটিফুল মোমেন্টস ক্যাম্পেইন’ : বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম টুর্নামেন্ট ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের উল্ল্যেখযোগ্য স্পন্সর ভিভো। ২০২১-এর ইউরো খেলায় ‘টু বিউটিফুল মোমেন্টস’ নামে একটি ক্যাম্পেইন শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। যাতে দর্শকরা ভার্চুয়ালি এবং লাইভেও অংশগ্রহণ করেছে। টুর্নামেন্টের সময় স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির আয়োজনে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ তাদের বন্ধু, পরিবার ও স্বজনদের সঙ্গে খেলা উপভোগ করতে পেরেছে।
ফাইভ-জি প্রযুক্তিতে উদ্ভাবন : আরো বেশি পরিমাণ অঞ্চলকে ফাইভ-জি নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসতে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে ভিভো। এরই অংশ হিসেবে ২০টিরও বেশি ফাইভ-জি মডেল বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাজারে নিয়ে এসেছে প্রতিষ্ঠানটি। এর মধ্যে বাজেট স্মার্টফোনের পাশাপাশি রয়েছে ফ্ল্যাগশিপও। ফাইভ-জি প্রযুক্তির ওপর ভিভোর তিন হাজারেরও বেশি প্যাটেন্ট রয়েছে। থার্ড জেনারেশন পার্টনারশিপ প্রজেক্টের (৩জিপিপি) মধ্যে শীর্ষ আট কোম্পানিতেও তালিকাভুক্ত হয়েছে।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফির সঙ্গে পার্টনারশিপ, ভিশন+মোবাইল ফটো অ্যাওয়ার্ডস : বিশ্বে মোবাইল ইমেজের ইকো সিস্টেম তৈরি করতে দ্বিতীয়বারের মতো ন্যাশনাল জিওগ্রাফির সঙ্গে পার্টনারশিপে যুক্ত হয়েছে ভিভো। যৌথভাবে শুরু করেছে ভিশন+মোবাইল ফটো অ্যাওয়ার্ডস। প্রখ্যাত ফটোগ্রাফার মার্টিন পার এবং শিয়াও কুয়ানের মতো আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত ফটোগ্রাফারদের তোলা ছবিগুলো বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষকে অনুপ্রাণিত করে।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০২১ সালের এই ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারলে ২০২২ সালটিও সফল একটি বছর হতে পারে ভিভোর জন্য।
"