তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক

  ২৬ অক্টোবর, ২০২১

মহাকাশের নতুন রহস্য উন্মোচন করবে শেনঝাউ-১৩

বৃহস্পতির কক্ষপথে থাকা গ্রহাণু ট্রোজান নিয়ে প্রথমবারের মতো দীর্ঘ ১২ বছরের একটি অভিযান শুরু করতে চলেছে নাসা। সৌরজগত কীভাবে তৈরি হয়েছিল, তা জানার জন্য আরো একধাপ এগিয়ে দেবে এই অভিযান, এমনটাই মনে করছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। বৃহস্পতি ও মঙ্গলের মধ্যে অসংখ্য গ্রহাণু সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘোরে। এদের মধ্যে যেগুলো বৃহস্পতির কক্ষপথকে ঘিরে ঘুরছে তাদের বলা হয় ট্রোজান। এই ট্রোজানদের গঠন ও অবস্থান সম্পর্কে জানতে নাসার এই মিশন সাহায্য করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

নাসার পরিকল্পনা রয়েছে, স্পেস ক্র্যাফটটি উৎক্ষেপণের পর প্রথমে পৃথিবীকে দুবার প্রদক্ষিণ করবে এবং তারপর ছুটে যাবে ট্রোজানের দিকে। এছাড়া, ২০২৫ সালে মঙ্গল ও বৃহস্পতির মাঝখানে অবস্থিত একটি গ্রহাণুর পাশ দিয়ে স্পেস ক্র্যাফটটি যাওয়ার সময় তার যন্ত্রাংশের পরীক্ষা করা হবে। নাসা জানিয়েছে, ২০৩৩ সাল নাগাদ পুরো মিশন সম্পন্ন হতে পারে বলে তারা মনে করছে।

এদিকে, মহাকাশে নিজেদের একটি স্টেশনের কোর মডিউলের উদ্দেশে তিন নভোচারীসহ মহাকাশ যান পাঠিয়েছে চীন। নভোচারীদের একজন নারী ও দুজন পুরুষ। চীনের স্পেস স্টেশন তিয়ানহে-র কোর মডিউলে এই তিনজন ছয় মাস কাজ করবেন বলে জানানো হয়েছে। মহাকাশে নিজস্ব স্টেশন বানাতে চীনের এটি দ্বিতীয় অভিযান।

লং মার্চ-২এফ নামের স্পেস ক্র্যাফটটি শেনঝাউ-১৩ মহাকাশ স্টেশন নিয়ে স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ গানসুর জিকুয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার থেকে মহাকাশের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার পর এদিন তিয়ানহে মহাকাশ স্টেশনে সফলভাবে অবতরণ করে। চায়না ম্যানড স্পেস এজেন্সির পক্ষ থেকে বলা হয়, শনিবার সকাল ৭টার দিকে স্পেস ক্র্যাফটটি সফলভাবে স্পেস স্টেশনে পৌঁছতে সক্ষম হয়। নভোচারীরা সকাল ১০টার দিকে স্পেস স্টেশনের কোর মডিউলে প্রবেশ করেন।

উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে চীনের যুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে কোনোমতে সম্মত হয়নি আমেরিকা। এর ফলে সেখানে জায়গা না পেয়ে নিজেরাই মহাকাশ স্টেশন গড়তে উদ্যোগ নেয় চীন। ২০১১ ও ২০১৬ সালে তিয়ানগং-১ ও তিয়ানগং-২ নামক দুটি পরীক্ষামূলক স্টেশন মহাকাশে পাঠায় তারা। এবারের পাঠানো তিয়ানগং মহাকাশ স্টেশনটি ৬৬ টন ওজনের। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের আকারের তুলনায় যা এক-পঞ্চমাংশ।

চলতি বছরের এপ্রিলে স্পেস স্টেশনটি নির্মাণ শুরু করে চীন। ওই সময় স্টেশনটির তিনটি মডিউলের মধ্যে প্রথম ও সবচেয়ে বড় মডিউলটি তিয়ানহে কক্ষপথে স্থাপন করা হয়। স্পেস স্টেশনটির নির্মাণ শেষ হলে বাসের চেয়ে আকৃতিতে কিছুটা বড় তিয়ানহেতে থাকবেন নভোচারীরা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close