তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক

  ১৭ অক্টোবর, ২০২১

নতুন আইফোনের উৎপাদন কম

বৈশ্বিক চিপ ঘাটতির প্রভাব পড়ছে শীর্ষ টেক জায়ান্ট অ্যাপলের ওপরেও। বলা হচ্ছে, চিপ ঘাটতির কারণে আইফোনের নতুন সংস্করণ আইফোর ১৩-এর এক কোটি ইউনিটের উৎপাদন বাতিল করতে পারে প্রতিষ্ঠানটি। নতুন আইফোনের উৎপাদন সংখ্যা কমে আসা নিয়ে খবরটি ব্লুমবার্গ প্রকাশ করেছে গত মঙ্গলবার। সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, চলতি বছরে ৯ কোটি নতুন আইফোন উৎপাদন করার কথা ছিল অ্যাপলের। তবে যন্ত্রাংশ সরবরাহ করতে হিমশিম খাচ্ছে ব্রডকম এবং টেক্সাস ইন্সট্রুমেন্টসের মতো সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। এর ফলে উৎপাদিত আইফোনের সংখ্যা প্রত্যাশার চেয়ে কম হবে বলে নির্মাণ কারখানাগুলোকে জানিয়ে দিয়েছে অ্যাপল।

ব্লমবার্গের প্রতিবেদন প্রকাশের পর শেয়ার বাজারে অ্যাপল শেয়ারের দরপতন হয়েছে ১ দশমিক ২ শতাংশ, টেক্সাস ইন্সট্রুমেন্টস এবং ব্রডকমের শেয়ারের দাম কমেছে ১ শতাংশ। এই প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি অ্যাপল। জুলাই মাসেই অ্যাপল পূর্বাভাস দিয়েছিল, বৈশ্বিক চিপ ঘাটতির কারণে কমে আসতে পারে মুনাফা অর্জনের গতি। চিপ ঘাটতির ভুক্তভোগী হয়েছে অ্যাপলের ম্যাক কম্পিউটার এবং আইপ্যাড উৎপাদন প্রক্রিয়াও। একই সময়ে টেক্সাস ইন্সট্রুমেন্টসও তাদের ভবিষ্যৎ

মুনাফা নিয়ে একই ধরনের ইঙ্গিত দিয়েছিল। আর সেখানেও ছিল চিপ ঘাটতির ভুক্তভোগী হওয়ার শঙ্কা। বৈশ্বিক চিপ ঘাটতির নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে ইলেকট্রনিক পণ্য নির্মাতা থেকে শুরু করে অটোমোবিল নির্মাতাদের ওপরও। উৎপাদন বন্ধ রাখতে বা সীমিত করতে বাধ্য হয়েছে বিভিন্ন অটোমোবিল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। ক্রয়ক্ষমতা আর চিপ সরবরাহকারীদের সঙ্গে দীর্ঘকালীন চুক্তির জোরে অ্যাপল চিপ ঘাটতির সময়টা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তুলনায় বেশ ভালোভাবেই পার করতে পেরেছে। বাজার বিশ্লেষকদের কেউ কেউ ধারণা করেছিলেন, ফাইভ-জি তে আপগ্রেড করতে আগ্রহী ক্রেতাদের কারণে সেপ্টেম্বরে মুক্তি পাওয়া আইফোন ১৩-এর বদৌলতে ভালোই করবে অ্যাপল।

তবে বাজার বিশ্লেষক কাউন্টার পয়েন্ট রিসার্চের পরিচালক জেফ ফিল্ডহ্যাক বলেছেন ভিন্ন কথা। উৎপাদন কমানো অ্যাপলের স্বাভাবিক ব্যবসা কৌশলের অংশ হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। নতুন পণ্য উন্মোচনের পর গ্রাহক চাহিদার কথা মাথায় রেখে নির্মাণ কারখানাগুলোতে সাধারণত প্রয়োজনের বেশি ডিভাইসের অর্ডার দিয়ে থাকে অ্যাপল। পরবর্তী সময়ে চাহিদা কমার সঙ্গে সঙ্গে কমাতে থাকে উৎপাদনের পরিমাণ। ফিল্ডহ্যাক বলছেন, এখন পর্যন্ত বিক্রির হিসাবে আইফোন ১২-এর চেয়ে এগিয়েই আছে আইফোন ১৩। আর চলতি বছরের শেষ প্রান্তিকে সাড়ে ৮ কোটি থেকে ৯ কোটি আইফোন বিক্রির অনুমান থেকেও সরে আসছে না কাউন্টার পয়েন্ট রিসার্চ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close