তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক

  ২৪ জুন, ২০২১

গেমস আসক্তিতে যুক্তরাজ্যে ক্লিনিকে চাপ তিন গুণ!

গত এক বছরে যুক্তরাজ্যে গেমিং আসক্তি এবং ডিসঅর্ডারের জন্য তরুণ বয়সি ও শিশুদের চিকিৎসা নেওয়ার হার বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, এ ক্ষেত্রে মহামারি ও লকডাউন গুরুতর ভূমিকা রেখেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘গেমিং ডিজঅর্ডার’কে মেডিকেল সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছে ২০১৮ সালে। এর এক বছর পর ২০১৯ সালে যাত্রা করে যুক্তরাজ্যের ওই বিশেষ ক্লিনিকটি। ২০২১ সালে জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত বিশেষ ওই ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫৬ জন। অথচ এক বছর আগে একই সময়ে চিকিৎসা নিয়েছিলেন ১৭ জন।

অন্যদিকে, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কর্মরত নাইটিঙ্গেল হাসপাতালও গেমিং ও প্রযুক্তি আসক্তিজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়তে দেখেছে। হাসপাতালটি বলছে, ২০২০ সালের মার্চ থেকে জুন এবং জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর সময়ের মধ্যে প্রযুক্তি আসক্তি নিয়ে তাদের কাছে অনেকেই প্রশ্ন করেছেন। এর মধ্যে অধিকাংশই নিজ নিজ সন্তানের জন্য এ বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। আর ২০২১ সালে এসে এ জানতে চাওয়ার সংখ্যা চার গুণ হয়েছে।

হাসপাতালটির প্রধান আসক্তি থেরাপিস্ট প্যাট্রিক ম্যাক্সওয়েল জানিয়েছেন, মহামারি উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে গোটা বিষয়টিতে। বিশেষ করে অল্পবয়সি শিশুদের মধ্যে প্রযুক্তি আসক্তি উপস্থিত হয়েছে গেমিংয়ের বেশে। ‘রয়্যাল কলেজ অব সাইক্রিয়াটিস্টস’-এর গেমিং আসক্তি প্রধান হেনরিডা বোডেন-জোনসের মতে, গেমিং ডিজঅর্ডারে আক্রান্ত তরুণ বয়সিদের ওপর লকডাউনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার ব্যাপারটি উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে। তিনি বলেছেন, ‘অনেক অল্পবয়সি রোগী আমাদের জানিয়েছেন, কোনো কাঠামোর অনুপস্থিতি তাদের দীর্ঘ সময় ধরে এবং অনিয়ন্ত্রিতভাবে গেম খেলতে বাধ্য করেছে, এতে পারিবারিক সময়সহ অন্যের স্বার্থ ও কার্যক্রমে ক্ষতি হওয়া সত্ত্বেও। গেমিং বেড়ে যাওয়ার কারণে পারিবারিক গতিশীলতাতেও পরিবর্তন এসেছে, অভিভাবক অনেক সময় গেম ব্লক করতে গিয়ে শিশুর ক্ষোভ প্রকাশ এবং শারীরিক আগ্রাসন দেখেছেন।’ ‘গত বছর আমাদের ধারণার চেয়েও অনেক বেশি রোগী এসেছেন এবং আমরা কীভাবে বড়মাপে অভিভাবক ও শিশু উভয়কে সমর্থন দেব, তা এখন আমাদের পর্যালোচনা করতে হবে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close