তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক

  ০৮ এপ্রিল, ২০২১

স্মার্টফোন ব্যবসা বন্ধ করছে এলজি

দক্ষিণ কোরিয়ান ইলেকট্রনিকস জায়ান্ট ‘এলজি ইলেকট্রনিকস’ লোকসানের মুখে নিজেদের স্মার্টফোন ব্যবসার ইতি টানছে। টানা ছয় বছর ক্ষতির মধ্য দিয়ে গিয়েছে এলজির স্মার্টফোন ব্যবসা। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির এ বিভাগের মোট আর্থিক ক্ষতি এসে দাঁড়িয়েছে ৪৫০ কোটি ডলারে। স্মার্টফোন নির্মাতা হিসেবে খারাপ অবস্থানে ছিল না এলজি। ২০১৩ সালে স্মার্টফোন নির্মাতা হিসেবে তৃতীয় অবস্থানে পৌঁছেছিল প্রতিষ্ঠানটি। স্মার্টফোন বাজারে আল্ট্রা ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ক্যামেরার মতো নতুন নতুন উদ্ভাবনও নিয়ে এসেছিল তারা। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ এখন বলছে, ফোন বাজার ‘অসম্ভব রকমের প্রতিযোগিতাপূর্ণ’ হয়ে উঠেছে। এলজি ব্যবসা ছাড়ার কথা বললেও, স্মার্টফোন বাজারের অন্যতম দুই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান স্যামসাং এবং অ্যাপল এখনো ব্যবসা ধরে রেখেছে। দক্ষিণ কোরিয়ান প্রতিষ্ঠানটি অবশ্য নিজস্ব হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার সমস্যার মুখে পড়েছিল। এখনো উত্তর আমেরিকায় সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে এলজি। কিন্তু বিশ্বের অন্যান্য স্থানের বাজার নিজ অবস্থান ধরে রাখতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। তবে, দক্ষিণ কোরিয়ার বাজারে এলজি ফোন এখনো প্রচলিত একটি নাম। এলজি এক বিবৃতিতে বলছে, ‘অসম্ভব রকমের প্রতিযোগিতাপূর্ণ ফোন খাতের বাজার ছাড়ার এলজির কৌশলি সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠানটিকে বিদ্যুতচালিত গাড়ির উপাদান, সংযুক্ত ডিভাইস, স্মার্ট হোমস, রোবোটিকস, আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স এবং বি২বি সমাধান এবং প্ল্যাটফরম ও সেবার মতো বর্ধমান খাতে সম্পদের ব্যাপারে মনোনিবেশ করতে দেবে।’

গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাউন্টারপয়েন্টের তথ্য বলছে, গত বছর এলজি দুই কোটি ৮০ লাখ ফোন বিক্রি করেছে। অন্যদিকে, স্যামসাং বিক্রি করেছে ২৫ কোটি ৮০ লাখ ফোন। এলজির বিদ্যমান পাঁচটি বিভাগের মধ্যে স্মার্টফোন ব্যবসা বিভাগটি সবচেয়ে ছোট। প্রাতিষ্ঠানিক আয়ের মাত্র ৭.৪ শতাংশ আসে এখান থেকে। বর্তমান বৈশ্বিক ফোন বাজারের দুই শতাংশ দখলে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। বড় মাপের প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে বাজার লড়াইয়ে নিজেদের ফোনের উদ্ভাবনী দিকেই জোর দিচ্ছিল এলজি। গত বছর ইংরেজি অক্ষর টি আকারের ‘উইং’ স্মার্টফোনও নিয়ে এসেছিল। ডিভাসটিতে বড় পর্দা সরিয়ে নিলেই নিচে থেকে ছোট একটি পর্দা বের হয়ে আসত। মহামারিতে বিশ্বে অন্যান্য খাতের মতো স্মার্টফোন ব্যবসায়ও প্রভাব পড়েছে। ২০২০ সালে বিক্রি কমেছে ১০ শতাংশ, মূলত লকডাউনের কারণে বিক্রয়কেন্দ্র বন্ধ থাকার ব্যাপারটি প্রভাব ফেলেছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close