গুচ্ছ কবিতা
ফাহমিদা ইয়াসমিন
কিছু ফুল মরে অনাদরে
রাত পেরিয়ে যে সকাল আসে
তার কোলে বসে প্রত্যাশাফুল
আমিও অপলক তাকিয়ে দেখি
পাশাপাশি ঝরে পড়া দুটি বকুল।
বকুলেরও দেওয়ার কথা ছিল
আরো কিছু সুগন্ধি-সুবাস
সব কথা মিঠে না প্রত্যাশামতো
ভরসাও কখনো হয় লাশ
লাশেরও অতীত ছলাকলায়
ছলাকলায় পূর্ণ সততার ঘরে
তবুও রাত-সকাল যৌথসভা
তবুও কিছু ফুল মরে অনাদরে।
হঠাৎ আসা-যাওয়া
হঠাৎ করেই ঘরে এলো জল
হঠাৎ করেই নলকূপও বিকল
হঠাৎ করেই স্রোতে যাই ভেসে
হঠাৎ মৃত্যুও বসে পাশ ঘেঁষে
এমন কেন হঠাৎ হয় সব
কেন হঠাৎ মৃত্যুর উৎসব
এমন কেন হঠাৎ ঘুম হাওয়া
এমন কেন হঠাৎ জলধাওয়া
এই হঠাৎ গত বছর ছিল না
এই হঠাৎ পরে আর আসবে না
এভাবেই ভেসে যাব বারবার
এভাবেই স্বপ্ন গড়ি ভাঙবার?
আমরা চাই ‘হঠাৎ’ শব্দের শেষ
যেন এইবারে কাটে সব রেশ।
জলের খবর
সাঁতরাচ্ছি! আমাকে নিয়ে-
বুকভরা জল যেন আমার পৃথিবী
বাকিটুকু হাহাকার ফাঁদে।
প্রতিদিন কত বেখবর রটে
সেই খবরও হঠাৎ হাওয়া
আমি ডুবি জলে-অতলে
আমাকে যায় কাগজে পাওয়া
সাঁতরাচ্ছি! অথচ পারি না
ডুবে ডুবে মরে যাই
তবু জল কোলছাড়া করে না।
হা-হুতাশ বনাম
সুবাতাস
সবকিছু রাজার নীতিতে বাঁধা
সবকিছু প্রজার চোখে ধাঁধা
প্রজারা নিয়ত সাঈদের মতো
প্রজার বুকে কেন সব ক্ষত?
সবকিছুতে কিছু নেই- হা-হুতাশ
সবকিছুতে সব আছে- সুবাতাস।
"