সুমন কর্মকার
মতিভ্রমের যাতনা
বিষণ্নতায় ডুবে
ভারাক্রান্ত হৃদয়ে চাদর মুড়িয়ে,
উদভ্রান্ত হয়ে হাঁটছি সন্ধ্যের রাস্তাতে;
কোথাও কোনো মানুষ নেই দাঁড়িয়ে।
পাখিরা কিচিরমিচির দিয়েছে থামিয়ে,
অসংখ্য নক্ষত্রদের মাঝে,
চাঁদটা যেন তাকিয়ে আমার দিকে;
নরম জোছনায় জড়িয়ে নেয় আমাকে!
মৃদু আলোতে হঠাৎ অনুভবে
কে যেন রয়েছে আমার পাশে দাঁড়িয়ে,
চোখ ফেরাতেই আমি খুঁজে পাই তাকে;
প্রশ্ন করি আমি বিস্মিত হয়ে!
তুমি! তুমি এই সন্ধ্যের রাস্তাতে?
প্রত্যুত্তরে, কোমল কণ্ঠস্বর আসে ভেসে;
আর কতক্ষণ হাঁটবে বিষণ্নতার সাথে?
আমি তো এসেছি তোমার সঙ্গী হতে।
সব দ্বিধাদ্বন্দ্বের খাতা বন্ধ করে,
ঐশ্বর্য্যরে আবরণ ছিন্ন করে;
মোহমায়ার পাদপীঠ ছিটিয়ে;
তোমার প্রণয়ের প্রাপ্তি হতে।
দুজনে হেঁটে চলেছি অজানার পথে,
হাঁটতে হাঁটতে হিম কনকনে মধ্যরাতে।
মহাক্লান্ত চোখে সে বলে ওঠে;
পাঁজরে জড়িয়ে নেবে ওই চাদরটাতে?
হটাৎ দ্রুতগতিতে একটি গাড়ি যায় চলে
তীব্র আলোকচ্ছটা চোখ দুটো দেয় ঝলসে,
থমকে যায় মহাসড়কের চৌরাস্তার মনুমেন্টে;
তবে কি আমি ছিলাম অন্ধকারে মতিভ্রমের সাথে!?
ইতস্ততঃ হয়ে আবারও সে ফিরে আসে মাঝরাতে।
বেদনার্ত হৃদয়ের আকুল প্রার্থনায় সাড়া দিতে।
আর্তনাদে উত্তপ্ত বদ্ধ ঘরটাতে,
মহা ক্লান্তিতে বিভোর স্বপ্নতে।
আমি যতই এগিয়ে চলেছি তারই দিকে,
আত্মহারা হয়ে রাখতে যায় হাত তার হাতে,
সে নিলীন হয়ে যায় অন্ধকারের সাথে;
দুফোটা নোনা জল গড়িয়ে পড়ে গুমোট বিছানাতে।
"