আলমগীর খোরশেদ
রেনু থেকে বঙ্গমাতা
তিন বছর বয়সি রেনু
পুতুল খেলা ফুরোয়নি তখনো যার,
চিরজনমের বন্ধনে বেঁধে অভিভাবকরা
দিলেন শেখ মুজিবের সাথি করে,
শৈশব থেকেই পথচলায়, স্বামীর
রাজনৈতিক কাজেও হয়েছেন প্রেরণাদাত্রী,
বেশির ভাগ সময়ই বঙ্গবন্ধুর কেটেছে জেলে
সন্তান, সংসার, সব দায়িত্ব কাঁধে তার
টাকা বাঁচিয়ে দলের খরচ দিতেন অপকটে,
আত্মপ্রত্যয়ী, দৃঢ়চেতা, দূরদর্শী নারী তখন
আগরতলা মামলায় প্যারোলে মুক্তি নিতে নিষেধ,
পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে নয় কোনো প্রহসনের বৈঠক,
তার প্রেরণায় কারাগারে থেকেও-
বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠেন লেখক মুজিব,
সাত মার্চ রেসকোর্স ময়দানে দেবেন ভাষণ
গায়ে তার জ্বর, কী বলবেন তিনি?
রেনু বললেন, তোমার মনে যা, তাই বলবে,
তিনি জানতেন, মানুষটির বুক জুড়ে
লালন করেন, দেশ, ভাষা আর মানুষ,
পঁচাত্তরের পনেরো আগস্ট
সেই রক্ত ভেজা রাত,
চিরসাথি হয়েই পাড়ি দিলেন রক্তগঙা,
স্বাধীন বাংলার নেপথ্যে নীরবে তার অবদান
হয়ে উঠলেন মহীয়সী নারী, রেনু থেকে বঙ্গমাতা।
"