অনলাইন ডেস্ক
২৭ নভেম্বর, ২০২০
হেমন্তের পদাবলি
কার্তিকের এই শেষ সন্ধ্যায়
সোহরাব পাশা

------
দূরের দিগন্তে তার জ্যোতির্ময় স্বপ্নভাষা ফোটে
প্রবীণ হাওয়ায় ওড়ে ফিতেখোলা চুল;
অশেষ গহিন বিষাদের ওপারে তোমার বাড়ি
সেই কবে উঠে গেছে ব্যস্ত খেয়াঘাট
কারা যেন বদলে দিয়েছে তোমার পা ফেলা পথ
মুছে গেছে সোনার রোদ্দুরে ভেজা স্মৃতি পদচিহ্ন
নিঃশব্দ নির্জন শূন্যতার সবুজ মার্জিন নেই
বিশাসের মৃত্যু হলে শূন্যতার অহংকার বাড়ে
মহাবিশে স্বপ্নজলের নিঝুম ছোট ছোট নদী
জ্যোৎস্নার নিবিড় ঢেউ তুলে নদী বড় অন্ধ যায়;
ঢেউ ভাঙে আত্মমগ্ন আলোর ভুবনে
কাঁপে জন্মান্ধ রাত্রির গুচ্ছ গুচ্ছ মেঘ
মাঝেমধ্যে বৃষ্টি এলে ভিজে যায় স্মৃতির বারান্দা
এক নীল সন্ধ্যায় তোমার কথায় অজস্র ফুল ফুটেছিল
সেই ফুল নেই, পাতা নেই ওড়াউড়ি নেই প্রজাপতিদের
‘সব ফেলে গেলেও ভুলো মনে নিয়ে গেছো তুমি আমার সকল’
কার্তিকের এই শেষ সন্ধ্যায় তোমার জানালায়
কুয়াশায় বিলি কেটে খোঁজ কি পুরোনো সেই চাঁদ!
"