ওয়াহিদ জালাল
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
ভূমিষ্ঠের কান্না আমার সমবয়সি
বুকের ভেতর গোল হয়ে চাক বেঁধে
আছে যে সুধা, তার মুখে সঘনে
আমি ক্ষতের খবর পৌঁছে দিতে যাই,
ভবিষ্যতের কাঁধে হেলান দিয়ে ভাঙনের
গল্প করছে কৃষকের এক টুকরো পাকাল জমিন
অথচ কথার বুকে মাটির পরিপূর্ণতা লিখে
একটি পাটকাঠির ইতিবৃত্তের কলিজা।
ঘর থাকলে বাড়ি হয় না
যৌবনে প্রভুরকাল সিন্ধু মথি দুঃখভাগী।
কালের কোকিল ডেকে যায়,
কেউ তার ডাক শুনে, কেউ কখনোই শুনে না
ধমক দেই নিজের চোখের জলের প্রতি,
জানি, মন আর এই বাড়িতে থাকে না,
সে পাথরের স্তনে আয়ুর ইঙ্গিত স্পষ্ট করে
লিখে একটি মূল্যহীন শূন্যতা দিয়ে।
তবু মামুর বাড়িতে ছোটবেলা পাওয়া
আদরের মতো ডাক দেয় এই দিনটি
ওয়াহিদ শোনো,
ভাঙনের খবর মানুষের কাছে কখনো পৌঁছে দিও না
কেননা, আঘাতের মলম খুব ভালো করে
মানুষের হাত ভাঙনের জখমে লাগিয়ে দিতে জানে।
আমি ভাবছি, আজ বাবা বেঁচে থাকলে
দখল শব্দটি তার হাতের তালুতে লিখতাম
আমার অসহায় দুটি চোখের জলে।
"
প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন