আছে আয় প্রতি পথে
ওয়াহিদ জালাল
কোনোকালেই আমি কোনো অভিযোগ রাখিনি
অপুষ্ট শস্যদানার প্রতি, নদীর স্রোত
কিংবা ফুলের সুরভিত পাপড়ির কাছে
জানতে চাইনি তার যৌবনের বিশ্বাস ধর্ম,
একবার অন্ধকারে এক যুবতীর কান্না শুনে
তার কান্না থামাবার জন্য বসন্তের রাতে
জানতে চেয়েছিলাম কিছু কথকতা, তখন
রাত্রির অনুকূলে ছিল না নিজের উদাস দীর্ঘশ্বাস।
বেদনারা যখন মুগ্ধতায় ভরা বাতাসের ঘাসে
সবুজ হয়ে নিজেকে উজাড় করে দেয়,
সমুদ্রের অভিমান ভেঙে নীরবতা ছুটে চলে দূরের পথে
অথবা নারীর শাড়ির আড়ালে ভাসমান ঢেউয়ে ভাসে
মনের কামনাগুলো, তখন ভাবের জন্য
ব্যস্ত হয়ে যায় জন্মের অকাতর বর্ণনা আর
মুক্ত পাখির পাখনা ও এক বৃক্ষের অমলিন ছায়া।
শহরে কেউ জেগে আছে মনে হয় না এখন,
বিরাজমান অপেক্ষা ছাড়া আর কোনো শব্দ নেই অন্ধকারে,
তবুও সীমাহীন প্রত্যাশা মুখের ওপর লিখছে
সমস্ত জীবনের বিশাল দলিল,
পাহাড় কখনো কাউকে ধ্বংস করে না,
মানুষের ধ্বংস ফেরাতে সে নিজেকে রক্ষা করে মাত্র।
চিরকালই মানুষ পাহাড়কে বাধ্য করে বিদ্রোহী হতে,
কালের একটি যন্ত্রণা অধিকভাবে আকুল করে মনকে।
আমি অভিযোগের কথা বলেছিলাম,
পদ্মার তীরে, সুরমা নদীর স্থির জলে,
মেঘনার নিঃশ্বাসে স্পর্শ রাখতে গিয়ে কখনো
জানতে চাইনি তাদের মনের কথাগুলো,
তবু এক ব্যথিত অতীত পড়ে আছে, পড়ে থাকছে
দীর্ঘ পথের মতো সম্মুখে,
পাখিদের মতো ছুটে যাচ্ছে নিয়তির বাসনা,
বিদায়ের বিষণ্ন রুমালে চোখের জল মুছে আর্তনাদগুলো,
প্রাণের পাশে প্রতিদিন ঈশ্বরের নাম হয় অদৃশ্য।
"