নিজস্ব প্রতিবেদক
কেয়া গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ ৬ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

কেয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল খালেক পাঠানসহ ৬ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত অন্য ৫ জন হলেন- সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেডের গুলশান শাখার তৎকালীন শাখা ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, ভাইস প্রেসিডেন্ট মোরশেদ আলম মামুন, একই শাখার সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ক্রেডিট ইনচার্জ রেজওয়ানুল কবির, অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট অমীয় কুমার মল্লিক এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট আশরাফুল ইসলাম। তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদনে বলা হয়, আসামিরা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের কোনো ধরনের ঋণ অনুমোদন ছাড়াই ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণার আশ্রয় গ্রহণ করেন। নিজেরা অবৈধ উপায়ে লাভবান হয়ে অন্যকে লাভবান করার অসৎ উদ্দেশ্যে অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড গুলশান শাখা থেকে ৪৯৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা উত্তোলন করে পরস্পর যোগসাজশে আত্মসাৎ করেন। তাদের বিরুদ্ধে গত ২ জানুয়ারি মামলা হয়েছে। আসামিরা দেশ ছেড়ে বিদেশে পলায়ন করতে পারেন। তারা দেশ ছেড়ে বিদেশে পলায়ন করলে মামলার তদন্ত কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি হতে পারে বিধায় তাদের বিদেশ গমন রহিত করা প্রয়োজন।
মতিউরের মেয়ে ঈপ্সিতার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা : ছাগলকাণ্ডে আলোচিত মতিউর রহমানের মেয়ে ফারজানা রহমান ঈপ্সিতার আয়কর নথি জব্দসহ দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। দুদকের আবেদনে বলা হয়, ফারজানা রহমানের দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন ২ কোটি ৪৫ লাখ ৩৪ হাজার ৬১১ কোটি টাকা মূল্যমানের সম্পত্তির তথ্য গোপন করার এবং জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৫৩ কোটি ৪১ লাখ ৩৮ হাহার ৩৯৩ টাকার মূল্যমানের সম্পত্তি অর্জন করে ভোগ দখলে রাখার অপরাধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে মামলা করা হয়েছে।
"