লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি
লামায় কর্মী সম্মেলনে জামায়াত
হাসিনার বিচারের পর হবে নির্বাচন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, আওয়ামী সরকার নির্বিচারে গুলি করে শত শত ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছে। শহীদদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আজ আমরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছি। স্বাধীনতার পরে যারাই ক্ষমতা এসেছে, তারা কেউ জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে পারেননি। এদেশে ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ছাত্র-জনতার রক্তের মূল্য আমরা পরিশোধ করব।
গতকাল শনিবার বিকেল ৩টায় লামা উপজেলা চত্বরে কর্মী ও সহযোগী সম্মলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মলনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী লামা উপজেলা আমীর কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম। এ সময় বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যক্ষ আমিরুজ জামান, জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম অঞ্চল টিম সদস্য মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান, জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যাপক জাফর সাদেক, জামায়াতে ইসলামী বান্দরবান জেলা আমীর এস এম আবদুচ ছালাম আজাদ, জামায়াতে ইসলামী বান্দরবান জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক ফারুক আহাম্মদ ও বান্দরবান জেলা বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন সভাপতি অধ্যাপক হামেদ হাসান।
জামায়াতে ইসলামী লামা উপজেলা শাখার সেক্রেটারি মোহাম্মদ সোয়াইদের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ২৪-এর জুলাই-আগস্টে ছাত্রজনতার আন্দোলনে পালিয়ে গিয়ে দিল্লিতে বসে হাসিনা দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করে চলছে। ১৬ বছর জুলুম-অত্যাচারের মাধ্যমে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করেও টিকে থাকতে পারেনি। শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে। আয়নাঘরে নির্যাতন চালিয়েছে ভিন্ন মতাদর্শের রাজনৈতিক নেতাদের।
দেশের আলেম-ওলামাকে হত্যা করেছে, জেলে ঢুকে রেখেছিল। নির্বাচন ও শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। বিরোধী মতকে দমিয়ে একদলীয় শাসন কায়েম করে ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করেছে হাসিনা। আওয়ামী লীগ এখনো অননুতপ্ত হয়নি। রাতে মিছিল করে নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিচ্ছে। স্বৈরচার হাসিনাকে দিল্লি থেকে ফেরত এনে বিচার করে তার পরে নির্বাচন দিতে হবে।
"