আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

  ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

আমতলীতে জাল সনদে চাকরি করছেন ৩ শিক্ষক

রগুনার আমতলীতে সার্টিফিকেট জাল করে, নাম ও স্বাক্ষর জালিয়াতি করে দুটি মাদরাসার তিন শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করে আসছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের পূর্ব কেওয়াবুনিয়া দাখিল মাদরাসা ও চাওড়া ইউনিয়নের পূর্ব পাতাকাটা এমএ দাখিল মাদরাসায় প্রতারণা করে চাকরি করছেন তারা। এ ব্যাপারে এলাকার তিন ব্যক্তি ওই তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে পৃথক তিনটি অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কুকুয়া ইউনিয়নের পূর্ব কেওয়াবুনিয়া দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক কামাল হোসেন ২০০৪ সালের এপ্রিলে সহকারী কৃষি শিক্ষক পদে যোগ দেন। ১৯৯৩ সালে পূর্ব পাতাকাটা এমএ দাখিল মাদরাসা থেকে তৃতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হওয়ার পরে লেখাপড়া করেননি। কিন্তু ২০০১ সালের কৃষি ডিপ্লোমা পাসের একটি জাল সনদ দিয়ে তিনি এ পদে যোগ দেন।

অন্যদিকে চাওড়া ইউনিয়নের পূর্ব পাতাকাটা এমএ দাখিল মাদরাসার সহকারী মৌলভি মজনুল হক ১৯৮৪ সাল থেকে আ. কুদ্দুস মিয়া নামের সনদ দিয়ে জুনিয়র মৌলভি পদে চাকরি শুরু করেন। তখন সবাই তাকে আ. কুদ্দুস মিয়া নামেই চিনতেন। পরে একই ব্যক্তি ১৯৮৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত মজনুল হক নামে চাকরি করে আসছেন।

একই মাদরাসার আ. রব নামে আরেক শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিজে নিয়োগপত্র তৈরি করে সহ-সুপার পদে অবৈধভাবে চাকরি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি ১৯৮৪ সালে সহকারী মৌলভি পদে যোগ দেন। পরে ১৯৯৫ সালে নিজেই স্বাক্ষর জাল করে সহ-সুপার পদের নিয়োগপত্র তৈরি করেন। বর্তমানে তিনি সহ-সুপার পদেই কর্মরত রয়েছেন।

পূর্ব কেওয়াবুনিয়া দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক কামাল হোসেনের কাছে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য না করেই উত্তেজিত হয়ে সাংবাদিকদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।

পূর্ব পাতাকাটা এমএ দাখিল মাদরাসার শিক্ষক মজনুল হক ও আ. রবের কাছে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, ‘একটি কুচক্রী মহল আমাদের হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য আমাদের বিরুদ্ধে এগুলো প্রচার করে যাচ্ছে।’

পূর্ব পাতাকাটা এমএ দাখিল মাদরাসার সুপার আবদুল হাই বলেন, ‘নাম বদলিয়ে অন্য নামে চাকরি এবং ভুয়া নিয়োগপত্র তৈরি করার সত্যতা রয়েছে।’

আমতলী উপজেলা দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি এ কে এম খায়রুল বাশার বুলবুল বলেন, ‘অবৈধ পন্থায় সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করার বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশন দেখবে এবং পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

আমতলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অলি আহাদ বলেন, ‘এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে যাচাই করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close