ইবি প্রতিনিধি

  ২৯ নভেম্বর, ২০২৪

ইবিতে আবাসিকতায় বৈষম্যমূলক নোটিসে ক্ষোভ, ভুল স্বীকার

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শহীদ জিয়াউর রহমান হলের আবাসিকতার আবেদনে জুলাই অভ্যুত্থানে আন্দোলনকারীদের অগ্রাধিকার দিয়ে নোটিস দেওয়া নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নোটিসটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি আলোচনায় আসে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, যে বৈষম্য দূর করার জন্য এত আন্দোলন, এত আত্মাহুতি সেই বৈষম্য যদি আবারো গেড়ে বসে তাহলে নতুন স্বাধীনতার মানে কী? ওই নোটিসে ওই হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শেখ এ. বি. এম. জাকির হোসেন নিজে স্বাক্ষর করেছেন। তবে তার দাবি পূর্বের নোটিস থেকে কপি-পেস্ট করতে গিয়ে এমন ভুল হয়েছে।

নোটিস সূত্রে, শহীদ জিয়াউর রহমান হলের অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আগামী ২৭ নভেম্বর থেকে ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে আবাসিকতার আবেদন আহ্বান করা হয়েছে। ফরম বাবদ ২০০ টাকা হলের ৬১৪ নং একাউন্ট নম্বরে জমা দিয়ে ফরম সংগ্রহ করে যথাযথভাবে পূরণ করে হল অফিসে জমা দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে ওই নোটিসে বোল্ড অক্ষরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে শাহরিয়ার জামান বিয়াদ নামের এক শিক্ষার্থী লেখেন, কোটা থাকবে না বলে আন্দোলন হলো, আর এখন এই নোটিসের মানে কী? অনতিবিলম্বে এই নোটিস প্রত্যাহার করতে হবে। এই বৈষম্যমূলক নোটিস প্রত্যাহার করে স্বচ্ছভাবে আবাসিকতা প্রদান করতে হবে। না হলে এর বিরুদ্ধে আমরা আবারও আন্দোলন করতে বাধ্য হবো।

বিষয়টি নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন ইবি শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট তাদের অবস্থান পরিষ্কার করে বলেন, আমরা আন্দোলন করেছি বৈষম্যের বিরুদ্ধে। এ রকম কোনো বৈষম্যমূলক দাবি আমরা কখনোই করতে পারি না। প্রভোস্ট স্বপ্রণোদিত হয়েই এটা করেছেন। আমরা তাকে বিষয়টি অবগত করেছি এবং আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছি।

এ বিষয়ে শহীদ জিয়াউর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শেখ এ. বি. এম. জাকির হোসেন বলেন, প্রভোস্ট কাউন্সিল থেকে এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের পক্ষ থেকেও এমন কোনো সুবিধা চাওয়া হয়নি। পূর্বের নোটিস থেকে কপি-পেস্ট করতে গিয়ে ভুল হয়েছে। সংশোধিত নোটিস দেওয়া হয়েছে।

এদিকে সমালোচিত নোটিশটির ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে’ লাইনটির উপর আলাদা কাগজ দিয়ে ফটোকপি করে সেটাকে জোড়াতালি দিয়ে ‘সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি’ হিসেবে সাঁটানো হয়েছে। এমনকি সংশোধিত বিজ্ঞপ্তিতে পুরোনো বিতর্কিত বিজ্ঞপ্তির একই তারিখ উল্লেখ রয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close