নিজস্ব প্রতিবেদক
ভারত থেকে চিন্ময়ের মুক্তি দাবি কীসের আলামত, প্রশ্ন রিজভীর
ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তরের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, চট্টগ্রামে গতকাল বুধবার একজন আইনজীবীকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা একটি সংগঠনের অভ্যুদয় দেখছি খুব অল্প কিছুদিন ধরে। এই সংগঠনটি কীভাবে তৈরি করা হলো? কে কে এর নেতৃত্বে আছেন? গতকাল বুধবার এ সংগঠনের কয়েকজনকে নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা সবাই যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক সেজে এ সংগঠনটির মধ্যে ঢুকে সারাদেশে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। এদের একজন নেতাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে এ কারণে ভারত থেকে তার মুক্তির দাবি করা হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে মুক্তি দাবি করা হয়েছে। এগুলো কীসের আলামত?
গতকাল বুধবার দুপুরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও আমরা বিএনপি পরিবারের প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের নির্দেশনায় ২৪-এর ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন চলাকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে মিরপুরে শহীদ পরিবারগুলোর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, আমাদের প্রায় ২ হাজারের মতো সাধারণ মানুষ ও বাচ্চা ছেলেদের গুলি করা হয়েছে। অনেককে হত্যা করা হয়েছে। কই তখন তো ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তর একটা স্টেটমেন্ট দেয়নি? শেখ হাসিনার এ ভয়ংকর নিপীড়নের জন্য এ রক্তক্ষরণের জন্য একটা স্টেটমেন্ট তো দেননি? একটা বিবৃত তো দেননি? আজকে যখন সরকার এবং সব মানুষ বুঝতে পারছে কোনো একটা ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের খেলা চলছে কোন কিছু একটা পরিকল্পিতভাবে ঘটিয়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। এটাতো একটি সূর্যের আলোর মতো একেবারে পরিষ্কার এ সংকটটা কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হচ্ছে। অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে তৈরি করা হচ্ছে। হঠাৎ বিভাগীয় শহরগুলোতে মানুষ নেমে পড়ছেন, দাবি জানাচ্ছেন, কই শেখ হাসিনার সময় তো দাবি জানাননি?
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘ষড়যন্ত্র এখনো থামছে না, ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন ঠিকই কিন্তু তার যে টাকার উৎস এটা এখনো তৃণমূলে অনেকের কাছে নানাভাবে রয়েছে। ওই টাকাগুলোই খরচ করে তারা এলাকার পর এলাকায় অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করছে। রিজভী বলেন, আমরা বাংলাদেশে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান পাশাপাশি শান্তিতে সবস্থানে দীর্ঘদিন বাস করছি। আজকে কেন পরিকল্পিতভাবে বলা হচ্ছে এখানে হিন্দু সম্প্রদায় নিরাপদ নয়। বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরাট অংশ এর মধ্যে নেই। তারাও বুঝতে পারছে কোনো ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত চলছে। কিন্তু তারা একজন আইনজীবীকে পর্যন্তও হত্যা করার মতো ধৃষ্টতা দেখাচ্ছে। এর জন্য ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তর কোনো বিবৃতি দিলেন না। বিবৃতি দিলেন যে, অস্থিতিশীলতা তৈরি করার কারণে চিন্ময় নামে একজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার জন্য। সে তো বাংলাদেশের নাগরিক। তার প্রতি যদি সরকার অন্যায় করে তাহলে বাংলাদেশের সরকার তাদের লোকজন তারা সেখানে দাবি তুলতে পারেন। তাদের দাবি এখান থেকে হবে। কেন বাইরের একটি দেশ থেকে এই ধরনের প্রতিবাদ আসছে। এগুলো তো সব রহস্যজনক বিষয়। বাংলাদেশকে স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে তারা মনে হয় বিশ্বাস করতে চায় না। তারা মনে করে দিল্লির সাউথ ব্লক থেকে যেভাবে নির্দেশ দেওয়া হবে বাংলাদেশ সেভাবে চলবে। এটা ১৮ কোটি মানুষের দেশ, এদেশ এভাবে চলতে পারে না। পার্শ্ববর্তী দেশের পলিসি মেকাররা এটা যেন ভুলে না যায়।
"