নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের ঘটনা পরিবারকে বলে দেওয়ায় স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা ও সরকারি সফর আলী কলেজের সাবেক জিএস সুমন মিয়ার (২৮) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তাকে আটক করেছে পুলিশ। 

গতকাল বুধবার সকালে উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের শ্রীনিবাসদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে নিহতের স্বামী দাবি করেছেন, তার স্ত্রী জিদনী আক্তার (২৩) অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে আনা হয়। পরে সে মারা যায়। নিহত জিদনী আক্তার বৈলারকান্দি গ্রামের মৃত সিরাজ মিয়ার মেয়ে। অভিযুক্ত সুমন মিয়া আড়াইহাজারের শ্রীনিবাসদী গ্রামের হান্নান মিয়ার ছেলে। 

এদিকে হাসপাতালে মরদেহ নিয়ে এলে দু’পক্ষের লোকজন হাতাহাতি ও সংঘর্ষে জড়ায়। একপর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। পুলিশ ও স্থানীয় বিএনপি নেতারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উভয়পক্ষকে নিবৃত করেন এবং ছাত্রলীগ নেতা সুমনকে আটক করে পুলিশ। 

নিহতের চাচা আহসান হাবিব জানান, প্রায় দেড় বছর প্রেমঘটিত সম্পর্কের পর তাদের বিয়ে হয়। দেড় মাস আগে তাদের একটি সন্তান হয়। বাচ্চা হবার আগে ডাক্তার দেখায়নি ঠিকমতো। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন করতো। এসব বিষয় পরিবারকে গত মঙ্গলবার রাতে ভিডিওকলে জানালে ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

আড়াইহাজার থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

"