নিজস্ব প্রতিবেদক
ফ্যাসিবাদের টার্গেট গণমাধ্যম ও সাংবাদিক : রিজভী
ফ্যাসিবাদ-নাৎসিবাদের প্রথম টার্গেট হচ্ছে গণমাধ্যম এবং সাংবাদিক। স্বৈরাচাররা কখনো এই চতুর্থ স্তম্ভ মেনে নিতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশের বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, স্বৈরাচাররা কখনো এই চতুর্থ স্তম্ভ মেনে নিতে পারে না বলেই প্রথমে এখানেই ধাক্কা দেয়। অনেক সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করেছে। অনেক পত্রিকা-টেলিভিশন বন্ধ করে দিয়েছে। আর এগুলো বন্ধ করেছে, যাতে তারা (আওয়ামী লীগ) অন্যায়-অবিচার-দুর্নীতি-বিদেশে টাকা পাচার করলে তাদের তথ্য ফাঁস না হয়। প্রতিটি সেক্টরে প্রতিটি জায়গায় শেখ হাসিনার লুটপাটের গুপ্তধন আছে। অন্তর্বর্তী সরকার যদি ঠিকমতো ড্রাইভ দিতে পারে, তাহলে এই গুপ্তধনের সন্ধান আমরা পাব। শেখ হাসিনার গুপ্তধনের সন্ধান দেশের জনগণ জানতে পারবে। তিনি বলেন, প্রেস ক্লাবকে গণতন্ত্রকামী মানুষের আশ্রয়ের জায়গা মনে করতাম। প্রেস ক্লাব ছিল সব সময়, সব যুগে যারা ন্যায়ের পক্ষে কথা বলত, সরকারের জুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াত, তাদের আশ্রয়স্থল। ক্রমান্বয়ে ফ্যাসিবাদের থাবা ইউনিয়ন থেকে শুরু করে সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ল তখন প্রেস ক্লাব সেই থাবার হাত থেকে বাঁচতে পারল না। এ প্রেস ক্লাব থেকে আমাদের দলের মহাসচিবকে আটক করা হয়েছিল। তার আটকের পেছনে একজন সিনিয়র সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরীর হাত ছিল। তিনি যে ন্যক্কারজনক কাজ করলেন, মনে হচ্ছে পুলিশকে ডেকে নিয়ে এসে মহাসচিবকে ধরিয়ে দিলেন। তবে অনেক সাংবাদিক ন্যায়ের পথে ছিলেন। গণতন্ত্রকামী মানুষের পক্ষে ছিলেন।
বিএনপির মুখপাত্র বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলন যখন চরম পর্যায়ে তখনো টেলিভিশনের টকশোতে দেখেছি শ্যামল দত্ত বলেছেন, এরা (ছাত্ররা) ভুল পথে যাচ্ছে। টাকা দিয়ে তাদের ভুল পথে পরিচালনা করছে। এ ধরনের মিথ্যাচার করে জনগণের ন্যায়সংগত আন্দোলন এবং ছোট বাচ্চাদের রক্তস্নানকে যারা কলুষিত করার চেষ্টা করেছে, তারা কি সভ্য মানুষ হতে পারে? বিএনপির এ নেতা বলেন, দেশে অনেক টেলিভিশন ছিল, পত্রিকা ছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা বাকশালকে এমন একটি নতুন রূপ দিয়েছিলেন যে থাকবে সবকিছু, কিন্তু কথা বলবে একজনের এবং একজনের কথাই প্রচার করা হবে। এটা ছিল শেখ হাসিনার মূল লক্ষ্য এবং তিনি সেভাবে কাজ করেছেন। ৭৫-এর বাকশালকে তিনি (শেখ হাসিনা) নতুন রূপে প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ সময় আরো বক্তব্য দেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারোয়ার, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, আবদুস সালাম আজাদ, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, জামায়াত নেতা নুরুল ইসলাম বুলবুল, সাংবাদিক নেতা এম আবদুল্লাহ, কাদের গণি চৌধুরী, শহিদুল ইসলাম, খোরশেদ আলম প্রমুখ।
"