বশির উদ্দিন, ডেমরা (ঢাকা)
বিদ্যুতের প্রিপেইড
মিটার বদলের দাবিতে সড়ক অবরোধ
রাজধানীর ডেমরায় বিদ্যুতের ডিজিটাল প্রিপেইড মিটার পরিবর্তনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছে গ্রাহকরা। এ সময় এনওসিএস, ডেমরা ডিপিডিসির কার্যালয় প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করেন তারা। গতকাল রবিবার দুপুরে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ডেমরা-শিমরাইল সড়কের পাশে বিদ্যুৎ কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে এসব কর্মসূচি পালিত হয়।
এর আগে একই স্থানে মানববন্ধন করেন গ্রাহকরা। এ ঘটনায় প্রায় এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। তবে খবর পেয়ে ডেমরা থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিন ওই ডিপিডিসির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আহসানুজ্জামানের কার্যালয়ে জড়ো হয়ে গ্রাহকরা প্রিপেইড মিটারের নানা সমস্যাগুলো অবহিত করেন। গ্রাহকদের দাবির মধে আছে প্রিপেইড মিটারের পরিবর্তে আগের পোস্ট-পেইড মিটার সংযোগ দেওয়া, অসংগতিপূর্ণ বিদ্যুৎ বিল, মিটার চার্জ ও অতিরিক্ত চার্জ থেকে অব্যাহতিসহ সব অনিয়ম ও আর্থিক ক্ষতির থেকে রক্ষা করতে হবে।
মানববন্ধনে উপস্থিত জনতা বলেন, শেখ হাসিনার আমলে সরকারিভাবে কৌশল করে খারাপ প্রিপেইড মিটার আমদানি করেছে সংশ্লিষ্টরা। পরে ঠিকাদারদের মাধ্যমে গ্রাহকের বাড়ি থেকে আগের ‘এনালগ মিটার’ পরিবর্তে টাকার বিনিময়ে নতুন প্রিপেইড মিটার স্থাপন করে। এতে গ্রাহকের ঘাড়ে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে প্রিপেইড মিটারের ভৌতিক বিলের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাত করছে বিদ্যুৎ বিভাগ। অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিপিডিসির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আহসানুজ্জামান বলেন, ‘সরকারিভাবে নিয়ম অনুযায়ী প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হয়েছে। মূল সমস্যাটা হয়েছে মিটার স্থাপনের পর তিন থেকে পাঁচ মাসের বিদ্যুৎ বিল একসঙ্গে করে গ্রাহককে দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে মোট বিলের ৫ শতাংশ ভ্যাট, মিটার প্রতি ৪০ টাকা মাসিক রেন্ট ও ডিমান্ড চার্জ যোগ করা হয়েছে। এছাড়া আগের চেয়ে সরকারিভাবে বিদ্যুৎ বিল বেড়ে বর্তমানে ৪২ টাকা কিলোওয়াট হয়েছে, যা আগে ছিল ৩৫ টাকা।
এতে পরবর্তী মাসে একসঙ্গে কয়েক মাসের বিদ্যুৎ বিলের বোঝা বহন করছে বলে প্রিপেইড মিটারের বিল বেশি হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে গ্রাহকদের কাছে।’ প্রকৌশলী আহসানুজ্জামান গ্রাহকদের উদ্দেশে বলেন, ‘গ্রাহকদের অন্তত দশটি প্রিপেইড মিটারের সঙ্গে পুরনো অ্যানালগ মিটার স্থাপন করে বিদ্যুৎ বিলের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হবে।
"