মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি
সড়ক ও জনপদের তৃতীয় শ্রেণির কর্মকর্তার সম্পদের পাহাড়
সড়ক ও জনপদ বিভাগে তৃতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা পদে চাকরি করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন নওগাঁর মান্দা উপজেলার হাজীগোবিন্দপুর গ্রামের ঠনঠনিয়া পাড়ার আবদুল জলিলের ছেলে আবদুল আজিজ। মাত্র ১৪ বছর চাকরি করে কীভাবে এত সম্পদের মালিক হলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, সবখানে চলছে আলোচনা। ২০০৯ সালে আগে তার কিছুই ছিল না বলে জানা গেছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, গ্রামের বাড়ি হাজীগোবিন্দপুরে নওগাঁ রাজশাহী মহাসড়কের পাশে তার নিজ এলাকাতে গড়ে তুলেছেন মেসার্স এস কে এলপিজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভারশন সেন্টার, উপজেলার ফেরিঘাট শহীদ কামারুজ্জামান টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের সামনে কিনেছেন জমিসহ দোকান, রাজশাহী শহরের ১০নং ওয়ার্ডের হেতেম খাঁ ঘোষপাড়া মোড়ে পুকুরের পাশে (হোল্ডিং নং ৮০/৪ ) ‘ক্ষণিকের আশ্রয়’ নামে ৫তলা ভবন, তার আনুমানিক মূল্য ছয় থেকে সাত কোটি টাকা, শহরে রয়েছে তার আরো একটি বাড়ি ও রাজশাহী শহরের আরডিএ ভবনের পাশে কিনেছেন কোটি টাকা মূল্যের জমি, গ্রামের ঠনঠনিয়া পাড়াতেও গড়েছেন আরো একটি আলিসান বাড়ি, বিল উতরাইল বিলে বাবার নামে কিনেছে ১০ বিঘা জমি। এভাবে নামে-বেনামে বিভিন্ন জায়গাতে গড়েছেন কোটি কোটি টাকার সম্পদ।
স্থানীয়রা বলেন, শহরের পাশাপাশি গ্রামে জায়গা জমি অনেক কিনেছেন তিনি। দাদার জমি ৫ বিঘার মতো হলেও তা ছাড়িয়েছে কয়েক গুণ। এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশনে মিরাজুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেছিলেন। তবে তা আর বেশিদূর এগাতে দেয়নি আবদুল আজিজ। নাম প্রকাশ না করা শর্তে স্থানীয় একজন স্কুল শিক্ষক বলেন, আবদুল জলিলের ছেলে আজিজ সার্ভেয়ার পদে চাকরিতে যোগদান করে শহরে ও গ্রামে অবৈধ ভাবে বিপুল অর্থ সম্পদ অর্জন করেছেন। সড়ক ও জনপদের নওগাঁর সার্ভেয়ার হওয়ার সুবাদে মহাসড়কের পাশে গড়ে উঠা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান অথবা বাড়ির মালিকদের সড়ক ও জনপদের অধিগ্রহণকৃত জমি লিজের কাগজ করে দেন তিনি।
"