নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৮ অক্টোবর, ২০২৪

পল্লী বিদ্যুৎকর্মীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউনের’ আলটিমেটাম

দাবি না মেনে উল্টো আন্দোলনের সমন্বয়কদের চাকরিচ্যুতি ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ব্ল্যাকআউট কর্মসূচি পালন করছেন বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের কর্মচারীরা। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা ১২ ঘণ্টার মধ্যে তাদের দাবি পূরণ না হলে সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির আলটিমেটাম দিয়েছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে নেতারা বলেন, আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে তাদের দাবি পূরণ না হলে সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ এবং ঢাকা অভিমুখে ‘লং মার্চ’ কর্মসূচি পালন করা হবে।

আন্দোলনকারীরা জানান, তারা জানুয়ারি মাস থেকে জরুরি সেবা চালু রেখে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে দাবি মেনে না নেওয়ায় তারা এই কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন। আন্দোলনের চার সমন্বয়ক এক বিবৃতিতে দুটি প্রধান দাবি তুলে ধরেছেন। সেগুলো হলো- বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) চেয়ারম্যানকে অপসারণ করা এবং ২০ জন চাকরিচ্যুত কর্মীকে পুনর্বহাল ও তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা।

ব্ল্যাকআউট কর্মসূচি পালনের বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উপ-মহাব্যবস্থাপক (কারিগরি) মো. আবু ছায়েম বলেন, আমরা অফিশিয়ালি কোনো ব্ল্যাকআউট কর্মসূচি পালন করিনি। তবে আজ (বৃহস্পতিবার) আমাদের মহাব্যবস্থাপক মুকুল হোসেন ও উপমহাব্যবস্থাপক আসাদুজ্জামান ভূঁইয়াকে কোনো কারণ দর্শানো নোটিশ ছাড়াই বরখাস্ত করা হয়েছে। এজন্য আমাদের কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। আমরা কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

আন্দোলনকারীরা বলছেন- প্রধান উপদেষ্টা, বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ও বিদ্যুৎ সচিবের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য চিঠি পাঠানো হলেও এখন পর্যন্ত কেউ সাড়া দেননি।

এদিকে ব্লাকআউটের ফলে ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মধ্যে ১৭টির গ্রাহক বিদ্যুৎহীন অবস্থায় আছেন। যার মধ্যে রয়েছে নেত্রকোনা, ঢাকা-১, ঢাকা-২, বরিশাল-১, কুমিল্লা-১, কুমিল্লা-২, কুমিল্লা-৩, কুমিল্লা-৪, মাগুরা এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া। এই পরিস্থিতিতে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ গ্রাহকের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১, ২, ৩ ও ৪ এলাকায় বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রধান কার্যালয় পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডে জড়ো হয়ে গতকাল সকাল থেকে বিক্ষোভ করছেন সমিতির কর্মচারীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close