প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
অবিরাম বৃষ্টিতে দুই জেলায় বন্যার অবনতি
* ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা * শেরপুরে বন্যার উন্নতি * পানিবন্দি আড়াই লাখ মানুষ * মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২
অবিরাম বৃষ্টিতে ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনায় সৃষ্ট বন্যার অবনতি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবারের ভারী বর্ষণে প্লাবিত হয়েছে নতুন নতুন এলাকা। নেত্রকোনার বিভিন্ন উপজেলায় অন্তত ১৩১টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ১০টি আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছে ৪৩টি পরিবার। পূর্বধলার জারিয়ায় কংস নদের তীরের বেড়িবাঁধ দুই স্থানে ভেঙে গেছে। এ দুই জেলায় আড়াই লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়েছেন। এদিকে দুদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ জনে। রাজবাড়ীতে বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে দুর্ভোগে শতাধিক পরিবার। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
ময়মনসিংহ : টানা বৃষ্টিতে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া ও ফুলপুর উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হয়েছে। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে আরো ২৫টি গ্রাম। পানিবন্দি হয়ে আছেন দুই লক্ষাধিক বাসিন্দা। মঙ্গলবার ভোর থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে কংস ও নেতাই নদীর পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান ময়মনসিংহ জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. সানোয়ার হোসেন। তিনি জানান, তিন উপজেলায় ৭ লাখ টাকা ও ৬৩ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। সানোয়ার হোসেন বলেন, হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া এবং ফুলপুর উপজেলার বন্যাকবলিত এলাকার প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোয় নারী ও শিশুসহ কয়েক শতাধিক মানুষ উঠেছে; সেখানে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এদিকে কংস নদীর পাড় ঘেঁষে গড়ে ওঠা ধোবাউড়া উপজেলার আইলাতলী আশ্রয়ণ প্রকল্পের বেশ কয়েকটি ঘরে গতকাল সকালে পানি ওঠায় দুর্ভোগ বেড়েছে।
আশ্রয়ণের বাসিন্দা ময়ূরী বেওয়া বলেন, ‘আশ্রয়ণ প্রকল্পে গত এক সপ্তাহ ধরে ঘরের চারপাশে পানি। পোলাপান নিয়ে পানির মধ্যে খুব কষ্টে আছি। সোমবার শুধু একটি সংগঠন আমাদের খাবার দিয়েছে। কিন্তু প্রশাসন থেকে এখনো কেউ খোঁজখবর নেয়নি।
"