হিমেল আহমেদ, নিকলী (কিশোরগঞ্জ)
২৬ প্রাইমারি স্কুল চলে প্রধান শিক্ষক ছাড়া
কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার ২৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে চলছে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শুধু তা-ই নয়, উপজেলায় ৩৩ সহকারী শিক্ষকের পদও ফাঁকা। সব মিলিয়ে উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা খাতের হযবরল অবস্থা। দ্রুত এ সমস্যা নিরসন প্রয়োজন বলে মনে করছেন শিক্ষক-অভিভাবকসহ সবাই।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ৬০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫৯টি পদে শিক্ষক নেই। এর মধ্যে ২৬টি প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য। সহকারী শিক্ষক পদ শূন্য ৩৩টি। শিক্ষার্থী রয়েছে ১৩ হাজার ২৩৫ জন। শিক্ষক সংকটে সহকারী শিক্ষকদের তদারকি, শ্রেণি কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ, নিয়মিত পাঠদানসহ প্রশাসনিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। ফলে অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে বিদ্যালয়গুলো। আরো জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক-শূন্য বিদ্যালয়গুলোয় ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সিনিয়র শিক্ষকরা। এতে একদিকে স্কুল পরিচালনা, অন্যদিকে প্রশাসনিক কার্যক্রম পালন শেষে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। ফলে ব্যাঘাত ঘটছে শিক্ষার্থীদের পাঠকার্যক্রম। অভিভাবকরা বলছেন, একজন মানুষের পক্ষে এত কাজ সামলানো খুবই দুঃসাধ্য ব্যাপার। অভিভাবক শরীফা বেগম ভাষ্যমতে, শিক্ষার্থীদের ভিত শক্ত করার প্রথম স্তর হলো প্রাথমিক শিক্ষা। সেখানে যদি কোনো ত্রুটি থাকে তবে সেই শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিক এবং ক্ষেত্রবিশেষে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে ভোগান্তিতে পড়ে। ষাইটধার এলাকার বাসিন্দা মো. আল-আমিন বলেন, ‘প্রধান শিক্ষকশূন্যতার কারণে প্রাথমিক শিক্ষার গুণগতমান ধরে রাখা সম্ভব হয় না। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের পাঠদানের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজ, শ্রেণিকক্ষ পর্যবেক্ষণসহ সভা-সেমিনারে অংশ নিতে হয়। ফলে পাঠদানে তারা পর্যাপ্ত সময় দিতে পারেন না।’ উপজেলার সাজনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শিক্ষক মো. শওকত আলী বলেন, ‘সহকারী শিক্ষক না থাকলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দাপ্তরিক কাজের পাশাপাশি অনেক ক্লাস নিয়ে থাকেন। আবার প্রধান শিক্ষক না থাকলে সহকারী শিক্ষক প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন থাকেন।’
"