বগুড়ার শিবগঞ্জে আমদানি নির্ভরতা কমাতে দেশে হলুদের উৎপাদন বৃদ্ধি করা হচ্ছে। উপজেলায় রকমারি শাক সবজি চাষের পাশাপাশি একই জমিতে একটা অংশ জুড়ে হলুদের চাষ হয়। হলুদের আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে এর আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির বিকল্প কিছু নেই বলে জানান কৃষি কর্মকর্তা।

জানা গেছে, দেশে উৎপাদিত এ মসলা ফসলের খাতটি এখনো আমদানি নির্ভর। মসলা জাতীয় ফসলের মাঝে হলুদ অন্যতম। প্রতিদিনের প্রায় সকল তরকারি রান্নার কাজে হলুদের ব্যবহার হয়ে থাকে। শুধু রান্না নয় ঔষধ শিল্পেও হলুদের ব্যবহার হয়ে থাকে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার উথুলী, নারায়নপুর, রহবল, দেউলী, ময়দানহাটা, সৈয়দপুর, মোকামতলা এলাকায় হলুদের আবাদ বেশি হয়ে থাকে। চলতি বছরে উপজেলায় প্রায় ৩০০ হেক্টর জমিতে হলুদ চাষ হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকায় এ বছর হলুদের ভালো ফলন ও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

উপজেলার রহবল এলাকায় দেখা গেছে হলুদ খেতে কাজ করছে কৃষক জাহাঙ্গীর আলম। তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার সে এক বিঘা জমিতে হলুদ চাষ করেছে। শুধু তিনি নয় আশেপাশের প্রায় ২০ বিঘা জমিতে হলুদ চাষ করেছে তার গ্রামের অন্যান্য কৃষকরা।

অপর কৃষক সানাউল ইসলাম জানায়, এবার কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট এর চেলোপাড়া সরজমিনে বিভাগ থেকে তাদের মাঠে চাষাবাদের জন্য ৩০ মণ হলুদ বীজ সহায়তা হিসেবে প্রদান করা হয়। এ জন্য এবার হলুদের আবাদ আরও বেশি হয়েছে এখানে। স্থানীয় ভাবে কুকুরমনি জাতের হলুদের আবাদ বেশি হলেও এবার বারি হলুদ-৫ নামের উচ্চ ফলনশীল হলুদের আবাদ হয়েছে এ মাঠে।

উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের রহবল ব¬কে কর্মরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. সাইফুর রহমান জানান, মসলা জাতীয় ফসলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে এর আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছি আমরা। হলুদ হালকা ছায়াযুক্ত স্থানে সফল ভাবে চাষাবাদ করা যায়। রোগবালাই খুব কম এবং বীজ সার ছাড়া কোন খরচ নাই। এ জন্য আবাদি জমির পাশাপাশি বসতবাড়ির আশপাশের হালকা ছায়াযুক্ত পতিত জমিতে আদা হলুদ চাষের জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছে কৃষি অফিস।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আল মুজাহিদ সরকার প্রতিদিনের সংবাদ কে জানান, এই এলাকার মাটি খুবই উর্বর। অন্যান্য ফসল চাষাবাদের পাশাপাশি সফল ভাবে বিভিন্ন মসলা জাতীয় ফসল চাষ হয়ে থাকে। কৃষি কর্মকর্তারা বিভিন্ন প্রকল্পের সহযোগিতার চাষিদের মসলা ফসল উৎপাদনে প্রশিক্ষণ প্রদান ও প্রদর্শনী বাস্তবায়ন সহ বিভিন্ন বিষয়ে সহায়তা প্রদান করে আসছেন।

"