বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিটের উন্নয়ন কাজের আউটসোর্সিং নীতিমালায় নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা। গতকাল রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ আন্দোলন পরিচালনা কমিটির অস্থায়ী কার্যালয়ে ওই আন্দোলন পরিচালনা কমিটি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ আন্দোলন পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আবু সাইদ হোসেন বলেন, গত চার বছর আগে আমরা তৃতীয় ইউনিট নির্মাণকাজে সম্পৃক্ত হয়ে সম্পন্ন করি। এখানে আমরা ১৪৪ শ্রমিক কাজ করে নির্মাণকাজ সম্পন্ন করেছি। বর্তমান আমরা শ্রমিকরা বেকার হয়ে বসে আছেন। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ আমাদের কথা দিয়েছিল, সেখানে কিছু শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হবে। পরে বিশ্ব করোনা মহামারির কারণে কর্তৃপক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়া সাময়িক স্থগিত করেন। পুনরায় নিয়োগটি চালু করতে কর্তৃপক্ষ কালক্ষেপণ করে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেন। রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় আমাদের নিয়োগ না দিয়ে তাদের কিছু লোকজনকে সেখানে নিয়োগ প্রদান করেন। আধুনিক ও উন্নত টেকনোলজি মেশিন ব্যবহার করা হয়েছে তৃতীয় ইউনিটে যাতে করে দীর্ঘদিন উৎপাদন দিতে পারে। ২০১৮ সালে ২৬ ডিসেম্বর তৃতীয় ইউনিটি চাইনিজ ঠিকাদারের কাছ থেকে পিডিবিকে হস্তান্তর নেওয়ার কথা ছিল। ২০১৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মেরামত করতে কোটি কোটি টাকা ব্যায় হচ্ছে। দ্বিতীয় ইউনিট দীর্ঘ চার বছর ধরে বন্ধ রেখেছেন। এই ইউনিটিও মেরামত করার পেছনে কোটি কোটি টাকা ব্যায় করেছেন।

আমরা লক্ষ্য করছি তৃতীয় ইউনিটির উৎপাদন বন্ধ রেখে মেরামত করছে। বর্তমান বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ধ্বংস করার প্রক্রিয়া চলছে। এখানে অভিজ্ঞ শ্রমিকের সংকট রয়েছে, অভিজ্ঞ শ্রমিকদের সেখানে নিয়োগ করা হলে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি সচল হবে। কিন্তু আউটসোর্সিং নীতিমালায় কোনো শ্রমিক নিয়োগ করা হচ্ছে না। আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সময় আন্দোলন করেছি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ আমাদের এই ন্যায্য দাবির প্রতি কর্ণপাত করছে না।

এখন আমাদের ছেলে মেয়েদের অর্থের অভাবে পড়াশোনা করাতে পারছি না।

তিনি জ্বালানি উপদেষ্টার কাছে দাবি জানিয়ে বলেন, ন্যায্য দাবি মেনে নিয়ে নিয়োগ প্রদানের দাবি জানাই। এর আগে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি আওয়ামী লীগ পন্থি কর্মকর্তারা আমাদের দাবি মেনে নেননি। এখানে আওয়ামী লীগ পন্থি ৩ থেকে ৪ জন রয়েছেন। যারা দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে একই স্থানে চাকরি করছেন। তাদের বদলিরও দাবি জানাচ্ছি।

‘আমরা খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছি। তাই আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আউটসোর্সিং নীতিমালায় নিয়োগ প্রদান করুন। আমাদের নেতাদের সঙ্গে কোনোরূপ আলোচনা না হলে আগামী অক্টোবর লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এর দায়দায়িত্ব তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষকে বহন করতে হবে।’ সংবাদ সম্মেলনে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র আন্দোলন পরিচালনা কমিটির শতাধিক শ্রমিক উপস্থিত ছিলেন।

"