ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মূল লক্ষ্যে এখনো পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। এটা যদিও কোনো সহজ কাজ নয়, তবে তা সম্ভব। সবার সমান অধিকার নিশ্চিত করতে বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের দায়িত্ব তরুণদের নিতে হবে। বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার লক্ষ্যে সবাইকে কাজে লাগিয়ে তা এগিয়ে নিতে হবে। শনিবার বিকেলে ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘এইচ অ্যান্ড এইচ ফাউন্ডেশন’ এবং ‘পাবলিক স্পিকিং অফিশিয়াল’ আয়োজিত এসএস গ্রুপ প্রেজেন্টস দেশসেবা লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড-২০২৪’ প্রদান অনুষ্ঠানে ইফতেখারুজ্জামান এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, যুক্তরাজ্যের জাতিসংঘ সমিতির সেক্রেটারি ড. ডেভিড চিজম্যান, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ড. জামিল আহমেদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির যুগ্ম সম্পাদক মিজান রহমান, এসএস গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক আমান উল্লাহ, এম সাফাক হোসেন ও মো. সোলায়মান আহমেদ জিসান।

অনুষ্ঠানে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৪টি জনসেবামূলক প্রতিষ্ঠান এবং ৫৪ জন স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষার্থীকে সম্মানিত করা হয়। বিশেষ করে ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট ও বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণ, শিশুখাদ্য ও মেডিকেলসামগ্রী প্রদানে কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য এ পুরস্কার দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘এ দুর্যোগের সময় আমাদের দেশের তরুণরা দক্ষতার সঙ্গে তা মোকাবিলা করেছে। আজকে কাজের স্বীকৃতি হিসেবে যে ১৪টি প্রতিষ্ঠান স্বীকৃতি পেল তা জাতির পক্ষ থেকে সামান্য। এরপরও জাতির যেকোনো চ্যালেঞ্জ সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করতে হবে।’

এইচ এন্ড এইচ ফাউন্ডেশনের ফাউন্ডার এম সাফাক হোসেন বলেন, যুব সমাজ ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। একই সঙ্গে বন্যার ক্ষেত্রেও তাদের অবদান রয়েছে। যা আমরা কখনোই ভুলতে পারবো না। ভবিষ্যতে আরো যেন কাজ করতে পারে আমাদের সেই সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে।

জামিল আহমেদ বলেন, তরুণ প্রজন্ম নিজেদের দায়বদ্ধতা থেকে রাস্তায় নেমে এসেছে। তাদেরকে কেউ বলে নাই ট্রাফিক সিগনাল নিয়ন্ত্রণ করতে। তারা নিজেরাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে এসেছেন। আমরা যাতে ছাত্র-ছাত্রীদের সাহসী ভূমিকা ধরে রাখতে পারি তা একান্ত প্রত্যাশা। দেশ ও জাতির কল্যাণে এভাবে ভবিষ্যতেও এগিয়ে আসতে হবে।

"