বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
বেনাপোল দিয়ে ভারতে পালাচ্ছে অপরাধীরা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে দেশটিতে পালাতে শুরু করেছে অপরাধীরা। রুট হিসেবে বেশি ব্যবহার করছে যশোরের বেনাপোল সীমান্ত। তবে অপরাধীদের পালানো রোধে সীমান্তে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ভারতে প্রবেশের আগে বিজিবি, পুলিশ, এনএসআই ও ডিজিএফআই সদস্যরা সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
জানা যায়, ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট ভারতে চলে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের সঙ্গে জড়িত রাজনৈতিক নেতা, সরকারি ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। বিদেশ ভ্রমণে দেওয়া হয় নিষেধাজ্ঞা। এদিকে বিভিন্ন পরিচয়ে পাসপোর্টযাত্রী ছাড়াও ইমিগ্রেশন কাস্টমস ভবনে বহিরাগতদের বিচারণ রয়েছে। এদের মাধ্যমে ও নানা অনিয়ম ঘটছে অভিযোগ রয়েছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস হাউসের সুপারিনটেনডেন্ট মোকলেছুর রহমান জানান, তাদের দুই সহকর্মীর কথায় কাস্টমসের এনজিও অনিমা বন্ধ গেট খুলে দিয়ে ওইদিন ৫ জন পাসপোর্টধারীকে ইমিগ্রেশন ভবনে প্রবেশ করায়। এদের মধ্যে একজন ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সেক্রেটারি।
পাসপোর্টধারীরা প্রবির মিত্র জানান, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার জিজ্ঞাসাবাদের পর ভারতে প্রবেশের অনুমতি হচ্ছে তাদের। কিন্তু শূন্য রেখায় বন্ধ থাকা কাস্টমস গেট খুলে আত্মীয় পরিচয়ে ভারতে পারাপার করে কর্মকর্তারা। এতে যাত্রীর ব্যাগ তল্লাশির সুযোগ আর থাকে না। এভাবে দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ম হয়ে আসলেও দেখার কেউ নেই।
দূনীতি দমন প্রতিরোধ কমিটির শার্শা উপজেলা শাখার সভাপতি আক্তারুজ্জামান লিটু বলেন, কাস্টমসের কিছু অসাধু কর্মকর্তারা অপরাধীদের ভারতে পালাতে সহযোগিতা করে বড় অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।
যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সাইফুল্লা সিদ্দিকী জানান, অপরাধীরা যাতে ভারতে পালাতে না পারে, সে ব্যাপারে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
"