আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টিসহ মাঝারি ধরনের ভারী ও অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। গতকাল বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এসব কথা বলা হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়, মধ্যপ্রদেশ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপ পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে লঘুচাপ আকারে মৌসুমি বায়ুর অক্ষের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা ৬ পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৩৬.৫ এবং সর্বনিম্ন টাঙ্গাইলে ২২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল ভোর ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯৩ শতাংশ।

এদিকে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, তিন দিন পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র-যমুনার পানি, দুদিন পর্যন্ত গঙ্গা-পদ্মার পানি স্থিতিশীল থাকবে। এরপরই কমতে শুরু করবে। সুরমা-কুশিয়ারার পানি কমছে। মনু খোয়াই ও ধলাই নদীর পানি বাড়ছে, তবে এ অবস্থা দুদিন বজায় থাকবে। মুহুরী, ফেনী, গোমতী, মাতামুহুরী ও সাঙ্গু নদীর পানি কমছে। তিস্তা ও দুধকুমার নদীর পানি স্থিতিশীল রয়েছে ও ধরলার পানি কমছে।

"