তুহিন আহমদ, সিলেট

  ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সিলেট সড়ক-মহাসড়ক

বেপরোয়া অটোরিকশায় বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি

দুর্ঘটনা হ্রাস করতে বিভিন্ন সময়ে সড়ক-মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা, অটোরিকশা বা ইজিবাইক বন্ধে সরকার ঘোষণা দিলেও এটি আদতে কার্যকর করতে পারেনি প্রশাসন। বিগত সরকারের সময় ট্রাফিক পুলিশের কড়াকড়ির কারণে দিনের বেলায় এসব রিকশা না চললেও রাতের বেলায় লুকিয়ে চালকরা এসব রিকশা নিয়ে সিলেটের সড়কের বের হতেন চালকরা। তবে এখন রাত কিংবা দিন নেই, সব সময়ই সিলেটের সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এসব ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। এতে বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা।

সিলেটের বিভিন্ন এলাকার অলিগলিতে পায়ে চালিত রিকশার চেয়ে ব্যাটারিচালিত রিকশাই এখন বেশি। আগে দিনের বেলায় না বেরিয়ে রাতে লুকিয়ে বের হতেন চালকরা। বর্তমানে দিনরাত উভয় সময় গলির পাশাপাশি মূল সড়কেও এসব রিকশা চালাচ্ছেন চালকরা। এদের বেপরোয়া যাতায়াতের কারণে প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনা ঘটছে। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষের পাশাপাশি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সিলেট রিকশা মালিক সমাজকল্যাণ সমিতির নেতারা। এসব ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার চলাচল বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সিলেটের জেলা প্রশাসক, এসএমপি কমিশনার, সিলেট সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন দপ্তরে এরই মধ্যে আবারও আবেদন করেছেন তারা। সিলেট নগরের আম্বরখানা, চৌহাট্টা, জিন্দাবাজারসহ বেশ কয়েকটি সড়ক ঘুরে দেখা যায়, পায়ে চালিত রিকশার পাশাপাশি দেদার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলছে। আগে ট্রাফিক পুলিশের ভয়ে দিনে বের না হলেও এখন আর সেই তোয়াক্কা করছেন না চালকরা। এতে করে সড়কে বাড়তি চাপ বাড়ছে। যার কারণে ব্যস্ততম সড়কগুলোতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের। বৃদ্ধি পাচ্ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা।

নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা বলেছেন, এসব ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলের কারণে যানজট বাড়ার পাশাপাশি দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়েছে। তাই এ ব্যাপারে প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা মূল সড়কে চলাচল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। পায়েচালিত রিকশাতে মোটর লাগিয়েই এরা এখন মূল সড়কে চলে আসছে। ফলে এদের গতি বেপরোয়া। এসব রিকশা চলাচল বন্ধে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

এদিকে, সিলেটে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধের জন্য সিলেটের জেলা প্রশাসক, এসএমপি কমিশনার, সিলেট সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন জানিয়েছে সিলেট রিকশা মালিক সমাজকল্যাণ সমিতি। আবেদনে তারা উল্লেখ করেছেন, সিলেট সিটি করপোরেশনের অনুমতি না নিয়ে ব্যাটারিচালিত রিকশা নগরে অবৈধভাবে চলাচল করছে। এতে সড়কে সৃষ্টি হচ্ছে অবাঞ্ছিত যানজট। বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি।

সিলেট রিকশা মালিক সমাজকল্যাণ সমিতি সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা উচ্ছেদে আমরা বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছি।

২০২১ সালে সড়ক পরিবহন বিষয়ক জাতীয় টাস্কফোর্সের সভায় সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সারা দেশে ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে একই বছরের ১৫ ডিসেম্বর সারা দেশে চলা অবৈধ ব্যাটারিচালিত ৪০ লাখ ইজিবাইক বন্ধের নির্দেশসহ আমদানি ও ক্রয়-বিক্রয়ে নিষেধাজ্ঞা আর অবৈধ ইজিবাইক আমদানি থেকে বিরত থাকতে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close