অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
আমদানি-রপ্তানিবিষয়ক সেমিনারে বক্তারা
ঘাটে ঘাটে ফি : বাড়িয়ে দেয় পণ্যের দাম
দীর্ঘদিন ধরে কমপ্লায়েন্স মেনে পণ্য আমদানি করা ব্যবসায়িকে প্রতিটি চালানের বিপরীতে আড়াই লাখ টাকা টেস্ট ফি দিতে হয়। পণ্যের টেস্ট চলাকালে বন্দরের গুদামে থাকা পণ্যের জন্য আমদানিকারকদের গুনতে হয় অতিরিক্ত ফি। এসব রংবেরঙের ফি পরিশোধের কারণে বেশিমাত্রায় বাড়ে পণ্যসামগ্রীর দাম। বাজার করতে গিয়ে পকেট খালি হয় ভোক্তাদের। এই সমস্যার সমাধান হলে দেশের বাজারে দ্রব্যসামগ্রীর দাম অনেক কমবে। তবে এজন্য আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন দেশের ব্যবসায়ীরা।
গতকাল ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) আয়োজিত ‘ইমপরটেন্স অব রিস্ক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ইন সাপ্লাই চেইন অব অ্যাগ্রো প্রোডাক্ট’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ) এবং বাংলাদেশ ট্রেড ফেসিলিটেশন (বিটিএফ) এ সেমিনারের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউএসডিএ বাংলাদেশ ট্রেড ফ্যাসিলেশন প্রজেক্টের সিনিয়র টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার এ এফ এম আমিনুল এহসান খান এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থবিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. আবু ইউসুফ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে বলা হয়, বর্তমানে ইমপোর্ট ক্লিয়ারিং প্রসেস বা পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে প্রতিবার চালানে বিএসটিআইয়ের টেস্ট এবং স্যাম্পল কালেকশন করতে হয় বন্দর থেকে। এজন্য প্রতিবার পণ্য খালাসে ৫ হাজার ডলার বা ৫ লাখ ৬৫ হাজার টাকার পণ্যের বিপরীতে ফি দিতে হয় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এ ছাড়া প্রতিবারই এটমিক এনার্জি কমিশনের রেডিয়েশন সার্টিফিকেট লাগে। এজন্য বাড়তি সময় লাগে ৮-৯ দিনের মতো। এ সময় বন্দরে অতিরিক্ত ফি দিতে হয় ১ লাখ টাকা। ফলে শুল্ক ব্যতীত সাড়ে ৫ লাখ টাকার পণ্যে আরো ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা যুক্ত হয়ে ৯ লাখ টাকায় দাঁড়ায়। এভাবেই অতিরিক্ত সময়ের জন্য যেমনি পণ্যের সরবরাহ বিঘ্নিত হয়, তেমনি বাড়তি অর্থ দিতে হয়। এ ছাড়া কৃষিপণ্যের মতো পচনশীল পণ্যে নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে আমদানি ও রপ্তানিতে মাত্রাতিরিক্ত আমলাতান্ত্রিক জটিলতার জন্য।
"