মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি

  ১৮ নভেম্বর, ২০২৩

টাঙ্গাইলে মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী পালন

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে গতকাল মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা ভাসানী ১৯৭৬ সালের এই দিনে ঢাকার পিজি হাসপাতালে (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তাকে টাঙ্গাইলের সন্তোষে দাফন করা হয়। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সন্তোষে তার পরিবার, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ভক্ত, রাজনীতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করে।

মওলানা ভাসানীর মাজারে গতকাল সকাল ৭টায় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. ফরহাদ হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ আর এম সোলাইমান ও কোষাধ্যক্ষ ড. মো. সিরাজুল ইসলামকে নিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণি কর্মচারী সমিতি, ভাসানী পরিষদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ (অফিসার), বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসস্থ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ভাসানী পরিবারের পক্ষ থেকেও মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

এছাড়া গতকাল সকাল ৮টায় তবারক বিতরণ ও বাদ জুমা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এছাড়া ভাসানীর মাজারের কাছেই দরবার হল ও আশপাশের এলাকায় তিন দিনব্যাপী মেলা বসেছে। অসংখ্য ভক্তের কণ্ঠে ‘যুগ যুগ জিউ তুমি মওলানা ভাসানী’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে মজলুম জননেতার সমাধিস্থল।

আবদুল হামিদ খান ভাসানী অধিকারবঞ্চিত অবহেলিত মেহনতি মানুষের অধিকার ও স্বার্থরক্ষায় আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি দেশ ও জনগণের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে গেছেন। শোষণ ও বঞ্চনাহীন, প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে তার আদর্শিক ঐক্য ও রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠতা ছিল। বাঙালি জাতিসত্তা বিকাশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন মওলানা ভাসানী।

১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে মওলানা ভাসানীর জন্ম। সিরাজগঞ্জে জন্ম হলেও মওলানা ভাসানী তার জীবনের বড় অংশই কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে। তিনি তার কৈশোর-যৌবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি তৎকালীন বাংলা-আসাম প্রদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট গঠনকারী প্রধান নেতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে গঠিত প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীর সভাপতিও ছিলেন তিনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close