নিজস্ব প্রতিবেদক
মানুষ আর অন্ধকার যুগে ফিরে যেতে চায় না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, দেশের মানুষ আর অন্ধকার যুগে ফিরে যেতে চায় না। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট উন্নত আলোকিত বাংলাদেশ দেখতে চায়। যে বাংলাদেশের মূল চালিকা শক্তি হবে কারিগরি স্মার্ট জনশক্তি। শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে কাকরাইলে আইডিইবি ভবনে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের জেলা ও সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনগুলোর দুই দিনব্যাপী প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর পথ অনুসরণ করে দেশ পরিচালনা করায় সর্বক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য সবাইকে সাম্প্রদায়িক দেশবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে হবে।
আলোকিত বাংলাদেশ গড়তে হলে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ ক্ষেত্রে প্রশিক্ষিত জনগোষ্ঠী হিসেবে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার সুযোগ রয়েছে। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের পেশাগত সমস্যাদির প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী বলেন, সমস্যাগুলো অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইনের বাইরে গিয়ে কিছু করার সুযোগ নেই। খালেদা জিয়া কয়েকটি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশে বাসায় থেকে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন তিনি।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘তাকে (খালেদা জিয়া) বিদেশে নিতে তার ভাই একটি আবেদন করেছিলেন। কিন্তু এখানে আইনি জটিলতা রয়েছে। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। এরপর কিছু করতে হলে আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থায় যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রীও এটা নিয়ে ব্রিফ করেছেন।’
এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তা শঙ্কার বিষয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের বাসভবন খুবই সুরক্ষিত। তার নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি নেই। আইডিইবির সভাপতি প্রকৌশলী এ কে এম এ হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. শামসুর রহমান।
আইডিইবির সভাপতি এ কে এম এ হামিদ বলেন, বতর্মান সরকারের সময় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি, ক্রীড়া, পরিবেশ, কৃষি, খাদ্য, টেলিযোগাযোগ, সংস্কৃতি, সামাজিক নিরাপত্তা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন এমন কোনো খাত নেই- যে খাতে অগ্রগতি সাধিত হয়নি।
"