নিজস্ব প্রতিবেদক
এক মাসে পেনশনে যুক্ত ১৩ হাজার মানুষ
দেশে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি (স্কিম) এক মাস পেরিয়ে গেছে। এক মাস হিসাবে কিস্তির টাকা জমা দিয়ে বিভিন্ন স্কিমে নিবন্ধন নিয়েছেন ১২ হাজার ৯৭০ জন।
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব গোলাম মোস্তফা বলেন, নিবন্ধন হিসাব করলে সংখ্যা অনেক বেশি হবে, তবে শুধু নিবন্ধনের হিসাব আমলে নেওয়া হচ্ছে না। কিস্তিু দিয়েছেন যারা তাদের হিসাবই করা হচ্ছে।
গত ১৭ আগস্ট পেনশন স্কিম উদ্বোধন করা হয়। এ ধরনের একটি গণ স্কিমের জন্য এক মাস বেশি সময় না। যারা যুক্ত হয়েছেন তারা স্বতস্ফূর্ত তাগিদে যুক্ত হয়েছেন। এ বিষয়ে আরো প্রচারণা দরকার আছে। আর একটি বিষয় হচ্ছে, মানুষ স্কিম করার আগে তার অর্থনৈতিক সক্ষমতাও হিসাব করছে। মানুষকে সময় দিতে হবে, আমরা আমাদের প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। আমরা আশা করছি, ভবিষ্যতে এটা বাড়বে।
পেনশনের টাকা পাওয়া নিয়ে কোনো আস্থার সংকট রয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা যদি সিস্টেমটা দেখেন, পেনশন স্কিম গ্রহণকারীকে এখনো যেমন কোথাও যেতে হয় না, ভবিষ্যতেও যেতে হবে না। আবেদনে তিনি একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট দিয়ে দিচ্ছেন। তিনি যখন পেনশন পাবেন, তখন ইএফটির মাধ্যমে তার প্রাপ্য টাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে যাবে। কোনো মানুষের সান্নিধ্যে যেহেতু আসা লাগছে না, তাই হয়রানির প্রশ্নই নেই। যখন স্কিম পূর্ণতা লাভ করবে, তখন অটো সিস্টেমে পেনশনের টাকা তার অ্যাকাউন্টে চলে যাবে।
প্রবাস স্কিম, প্রগতি স্কিম, সুরক্ষা স্কিম এবং সমতা স্কিম- এ চার স্কিম নিয়ে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করেছে সরকার। চালুর প্রথম দিনেই এতে ব্যাপক সাড়া দেখা যায়। পেনশন বিধিমালা বলছে, সর্বজনীন পেনশন প্রথায় যার যত টাকা জমা, মেয়াদ শেষে তার তত বেশি পেনশন। অন্যদিকে, স্বল্প আয়ের মানুষদেরও বিমুখ করবে না এ উদ্যোগ। যারা মাসিক ৫০০ টাকা জমাবেন, তাদের জন্য শুরু থেকেই থাকবে সরকারের আরো ৫০০ টাকার ভর্তুকি। সবমিলিয়ে, সবার জন্যই থাকছে নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে বাড়তি কয়েকগুণ মুনাফা।
অর্থ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, পৃথিবীর বহু দেশেই চালু আছে জাতীয় পেনশন ব্যবস্থা। যেগুলো চলছে ঠিকঠাক। বাংলাদেশে সর্বজনীন পেনশন খাতে জমা হওয়া অর্থ যাবে লাভজনক বিনিয়োগে, তা থেকে প্রাপ্ত মুনাফাই জমা হবে স্কিমের হিসাবে। ফলে বেগ পোহাতে হবে না খুব একটা।
"