দেশে বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের বলেছেন, ‘সরকার বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক দুর্নীতি করেছে। বিদ্যুৎ দেওয়ার নাম করে টেন্ডার ছাড়া সব জায়গায় বিদ্যুৎ দিয়েছে। জনগণের টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। এতে বিদ্যুৎ না পেলেও ক্যাপাসিটি চার্জের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা, লাখ লাখ কোটি টাকা তাদের দিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ সোমবার (৫ জুন) দুপুরে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় বন্ধনপাড়ায় ঢাকা জেলা জাতীয় পার্টির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব অভিযোগ করেন। জি এম কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বিচার বিভাগকে অঙ্গ সংগঠন বানিয়েছে, শুধু তাই নয় জেলা প্রশাসক, র‌্যাব, পুলিশ, সামরিক বাহিনী, বিজিবি, নির্বাচন কমিশন, মানবাধিকার কমিশন সবাই আওয়ামী লীগের ভাষায় কথা বলছে। তারা তাদের অঙ্গ সংগঠন হয়ে কাজ করছে।’

বিরোধীদলীয় উপনেতা বলেন, ‘পদ্মা সেতু নিয়ে সরকার খুব গর্ব করে বলে নিজস্ব টাকায় পদ্মা সেতু বানিয়েছি। কীসের জনগণের টাকায় পদ্মা সেতু হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের টাকা আপনারা ফেরত দিলেন কেন? নামমাত্র সুদে বিশ্বব্যাংক টাকা দিয়েছিল। বিশ্বব্যাংক বলছিল দুর্নীতি আছে কি না খতিয়ে দেখব। সেই সুযোগে আপনারা ১০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পে খরচ বাড়িয়ে ৩২ হাজার ৬০০ কোটি টাকায় পদ্মা সেতুর কাজ শেষ করেছেন। ঋণের টাকায় পদ্মা সেতু হয়েছে। আর বাহাদুরি করেন নিজস্ব টাকায় পদ্মা সেতু হয়েছে। জনগণকে আর কত বোকা বানাবেন। আজ দেশে বিদ্যুৎ নেই, গরমে মানুষ দিশাহারা। জনগণ তো বিদ্যুৎ বিলের টাকা বাকি রাখেনি। তাহলে কয়লার টাকা বাকি কেন? দুর্ভোগ জনগণ পোহাবে কেন?’

অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন ও স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও ঢাকা জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি।

অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেন, ‘বিএনপি-আওয়ামী লীগ দেশের জনগণের জন্য কিছুই করতে পারবে না। তারা দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন। জনগণ আমাদের জানে এবং চিনে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে জাতীয় পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠতায় সরকার গঠন করবে।’

অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য আলমগীর হোসেন লোটন ও কেন্দ্রীয় ও মহানগর কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। শেষে সালমা ইসলাম এমপিকে পুনরায় ঢাকা জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ঘোষণা দেন নেতারা।

"